Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবন্তীর আত্মহত্যা: ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা বললেন অভিযুক্ত আম্মান

জবি করেসপন্ডেন্ট
১৬ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩৩

আমান সিদ্দীক, ছবি: সংগৃহীত

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তীর সুইসাইডে তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন। অবন্তীর সুইসাইড নোটের বিপরীতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেন তার অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান সিদ্দীক।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে অবন্তীর মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশের পর নিজ ফেসবুক ওয়ালে আম্মান এ পোস্ট করেন। পোস্টে অবন্তীর সঙ্গে কথোপকথনের স্ক্রিনশট ও জিডি কপি সংযুক্ত করেন।

ফাইরুজ অবন্তীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুক ওয়ালে আম্মান লেখেন, ঘটনার সূত্রপাত ৪ আগস্ট ২০২২ সালে। একটা ফেইক আইডি থেকে আমাদের ১৪ জন শিক্ষার্থীর নামে গুজব ছড়িয়ে কয়েকজন বন্ধুদের কাছে পাঠানো হয়। যেখানে আমার নামেও অনেক মিথ্যা অপবাদমূলক কথা ছিল। এমনকি অবন্তীর নিজের নামও সেই টেক্সটের মধ্যে ছিল। যখন এমন ম্যাসেজ দেখার পর আমি সবাইকে নিয়ে কোতোয়ালী থানায় যাই। সেখানে অবন্তী নিজেও উপস্থিত ছিল। পরবর্তী জিডি করা হয়। জিডি করে ফেরার সময় অবন্তী স্বীকার করে যে, ওই ফেইক আইডিটা সে নিজে খুলেছে। অন্য একটি মেয়েকে ফাঁসানোর জন্য সে এই কাজটি করেছে।’

‘পরবর্তী দিন এস আই রুবেলকে, আইও (কোতোয়ালী থানা) আমরা জানাই যে, আমাদেরই এক ফ্রেন্ড ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এস আই রুবেল আমাদের থেকে অবন্তীর বাবার সঙ্গে কথা বলেন এবং বন্ধু বান্ধবের মাঝে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে সমাধান করে ফেলার কথা বলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে প্রক্টর স্যারের কাছেও আমরা ব্যাপারটা অবহিত করি। যাতে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টা সম্পর্কে অবগত থাকেন।’

‘প্রক্টর অফিস থেকে ওর পরিবারের কাছে চিঠি গেলে। তার পরিপ্রেক্ষিতে অবন্তীর বাবা, মা ক্যাম্পাসে আসেন। প্রক্টরিয়াল তদন্ত কমিটির সামনে পুরো ঘটনার বিস্তারিত স্বীকার করে অবন্তী এবং একটা মুচলেকা দেয়। ওই দিন অবন্তীর আম্মা আমাদের কেক খাওয়ান এবং আমাদের সবার সঙ্গে বাইরে এসে কথা বলেন, উনি ভালোভাবে বাকি সময়টা আমদের মিলেমিশে পার করতে বলেন।’

পরবর্তী যোগাযোগ বিষয়ে আম্মান লেখেন, ‘এর পরবর্তী সময়ে আমার অবন্তীকার সঙ্গে আর কোনো দেখা হয়নি। ফেসবুকেও তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগই হয়নি। এমনকি তার সঙ্গে আমার ওই ঘটনার পরে কোনো মাধ্যমেই যোগাযোগ হয়নি।’

নিজেকে নির্দোষ দাবিতে তিনি লেখে, ‘মেয়েটিকে যদি আমি অনলাইনে কোনোভাবে ডিস্টার্ব করতাম। তবে সে সেটার স্ক্রিনশট অবশ্যই দিতে পারত। সে সেটা কেন দিল না?’ সে আমাকে ব্লক করে রেখেছিল। তার সঙ্গে আমি আজ পর্যন্তও ফেসবুকে বা অন্যকোনো মাধ্যমে কথাই বলিনি। এই ছিল আমার সাইডের বাস্তবতা এবং সত্যি বিষয়টি। আমি সবগুলো তথ্যই প্রমাণসহ তুলে ধরছি। বিশ্বাস করা না করাটা একান্তই আপনাদের উপর। তবে আমি যা বলেছি একদম সজ্ঞানে সত্যি বলেছি।’

অবন্তীর মানসিক অবস্থার কথা ভেবে তিনি লেখেন, ‘‘এ ঘটনার কয়েক মাস পরে অবন্তীকার বাবা মারা যান। হতে পারে অবন্তীকা তার মনে ক্ষোভ বেঁধে রেখেছিল যে, ‘আমাদের কারণেই তার বাবা কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন।’ হতে পারে এই ভাবনা থেকে অবন্তীকার মনে আমার বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তীব্র প্রতিশোধ প্রবণ চেতনা থেকেই হয়ত আজকের এই ঘটনা।”

সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দ্বীন ইসলাম স্যারের সঙ্গে আমার একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যতটুকু সালাম বিনিময় যোগ্য সম্পর্ক ততটুকুই ছিল। এর বাইরে খুব বেশি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না যে, স্যার আমার হয়ে অবন্তীকে কয়েকটা কটু বাক্য বলতে পারেন। স্যারকে আমি ডিফেন্ড করছি ব্যাপারটা এমন না, তবে স্যারকে ক্যাম্পাসের সবাই বেশ সহজ সরল মানুষ হিসেবেই চেনেন।’

সারাবাংলা/এএসএস/এনএস

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় টপ নিউজ ফাইরুজ অবন্তী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সালমান শাহ্‌ স্মরণে মিলাদ মাহফিল
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩

নাফ নদীর মোহনায় ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯

সম্পর্কিত খবর