Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড. ইউনূসকে দোষী করে দেওয়া রায় হাইকোর্টেও বহাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:০৫

ঢাকা: শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্তকরণ (কনভিকশন) আপিল নিষ্পত্তি না পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তার দণ্ড বা সাজার রায় আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে অর্থদণ্ডও স্থগিত থাকবে।

পাশাপাশি এক মাসের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে আদালতকে অবহিত করার আদেশও স্থগিত থাকবে। এছাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বিদেশে যেতে হলে আদালতকে অবহিত করে বিদেশ যেতে বলা হয়েছে রায়ে।

এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসসহ ৪ জনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ।

রায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৪ শীর্ষ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে, আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের ৪ জন শীর্ষ কর্মকর্তার সাজা ও দণ্ড স্থগিতের বৈধতা প্রশ্নে রুল শুনানি গত ১৪ মার্চ শেষ হয় এবং রায়ের জন্য আজকের দিন (১৮ মার্চ) ধার্য করা হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের করা মামলায় গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ ৪ জনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

এই রায়ের বিরুদ্ধে ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসসহ চারজন।

পরে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে ৪ জনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

অপর তিনজন হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

এ অবস্থায় তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী হাইকোর্টে আবেদন (ক্রিমিনাল রিভিশন) করেন।

মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শকের করা এই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

ওই রুলের ওপর গত ৬ মার্চ শুনানি শুরু হয় এবং ১৪ মার্চ শুনানি শেষে আদালত ১৮ মার্চ রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেন। আজ কয়েকটি দিক বিবেচনায় রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও

টপ নিউজ ড. ইউনূস শ্রম আইন হাইকোর্ট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর