Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপির শুধু খাইখাই আর আ. লীগ দেয়, এটাই তফাৎ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪০

ঢাকা: বিএনপি জনগণকে কিছু দিতে জানে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি মানে খাইখাই, আর আওয়ামী লীগ দেয় দেয়; এটাই হচ্ছে তফাৎ।

সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দেয়, দিতে জানে, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এবারের রমজানে আমরা ইফতার পার্টি করব না, এই খাবার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেব। আমরা তো ইফতার বিলি করি সাধারণ মানুষকে আর তোমরা ইফতার খাও। তোমরা শুধু খেতে জানো, তোমাদের শুধু খাই খাই। আর আওয়ামী লীগ দেয়।

তিনি বলেন, আজকে ভোটের কথা বলে ওদের ভোটের চেহারা তো আমাদের মনে আছে। নির্বাচন ঠেকাবে বলেছিল কিন্তু পারেনি। কারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে।

১৫ বছরে দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অগ্রগতির তুলনামূলক বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ অপরাধটা কি করল? আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ করে, জনগণের স্বার্থে কাজ করে। জাতির পিতা জন্ম নিয়েছিলেন বলেই বাঙালি জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। আজকে বাঙালি বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ে আসীন। পাকিস্তান আমলে এটা কেউ ভাবতেও পারত না। কোথায় পড়েছিলাম আমরা?

তিনি বলেন, মানুষ ধন-দৌলত কেউ কবরে নিয়ে যেতে পারে না। তার জন্য কত মারামারি কাটাকাটি করে। কিন্তু এগুলো ফেলে রেখেই যেতে হয়। যতটা মানুষকে দিয়ে যাওয়া যায়, মানুষের জন্য কল্যাণ করা যায় সেটুকুই সঙ্গে থাকে। সেটাই সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। কাজেই রমজান মাস, এখন আমি সবাইকে বলব আপনারা আশপাশে যারা দরিদ্র মানুষ আছেন সাধারণ মানুষ আছেন তাদেরকে সহযোগিতা করুন। আমরা ইফতার বন্টন করছি, আপনারাও করবেন। করে দেখাবেন আমরা মানুষের পাশে থাকি আর বিএনপি ইফতার পার্টি করে নিজেরা খায়। আর এইজন্যই মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। আমরা সবসময় মানুষের পাশে থাকি বলেই জনগণ আমাদেরকে বারবার ভোট দেয়। এটাই একমাত্র কারণ।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওরা যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় কোন সাহসে? ২০০৮ এর নির্বাচনে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে খালেদা জিয়াও সুস্থ তারেক জিয়াও সুস্থ। এমন রমরমা অবস্থায় আসন পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি। এটা তো মনে রাখা উচিত। তাহলে কিসের আশায় তত্ত্বাবধায়ক চায়?

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ থাকলে গরিবের পেটে ভাত থাকে, মাথা গোজার ঠাঁই হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশে একটি মানুষও ঠিকানা বিহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ ভালো থাকবে এটা তাদের (বিএনপি) পছন্দ হয় না। বাংলাদেশকে আবারও অন্ধকার যুগে ঠেলে দিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। কিন্তু সেটা আর কখনই পারবে না। কারণ এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেশ। শেখ মুজিব জন্মগ্রহণ করেছিলেন এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে। তার আদর্শ নিয়েই আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাবে।

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বাপর ঘটনা নিয়ে নির্মিত ‘মুজিব—একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি নেতাকর্মীদের দেখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্ম হয়েছিল বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আজকে এদেশের মানুষ অন্তত উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা অনেক ধাপ এগিয়ে গেছি। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। ইনশাআল্লাহ ২০৪১-এর মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। জাতির পিতার জন্মদিনে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

আলোচনা সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দীপু মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম।

সারাবাংলা/এনআর/এনইউ

খাইখাই টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী বিএনপি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর