নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনের জেরে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ
১৮ মার্চ ২০২৪ ২০:৪১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান। তার জায়গায় প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে জাবি রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান প্রক্টরের পদত্যাগ এবং ড. আলমগীরকে প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়ার তথ্য জানান।
এদিকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের সই করা এক অফিস আদেশের বিষয়টি জানানো হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়, সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অধ্যাপক আলমগীরকে আজ (সোমবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের পদত্যাগে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘প্রক্টরের পদত্যাগ প্রমাণ করল জাবিতে কোনো ধর্ষকের সহায়তাকারীর স্থান নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজন খুশি হয়েছেন। আমরা তাকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, যেন আগামীতে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কেউ এরকম দুঃসাহস করতে সামান্যতম সাহসও না দেখান।’
গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে হলসংলগ্ন জঙ্গলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত ও সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আন্দোলন শুরু করে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ। নিপীড়কদের সহায়তাকারী হিসেবে অভিযুক্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের অপরাধ তদন্ত ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রশাসনিক পদ থেকে তাদের অব্যাহতিসহ পাঁচ দফা দাবি রয়েছে এই প্ল্যাটফর্মের।
আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১১ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। তিন দিন অবরোধের পর গত বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম। আলোচনা শেষে উপাচার্য আশ্বস্ত করেন, ১৭ মার্চের মধ্যে অভিযুক্ত প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ না করলে ১৮ মার্চ তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত ১৮ মার্চই পদত্যাগ করলেন প্রক্টর।
সারাবাংলা/টিআর
আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান জাবি জাবি প্রক্টর জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ