মে মাসের মধ্যে উত্তর গাজায় দেখা দেবে দুর্ভিক্ষ
১৯ মার্চ ২০২৪ ১০:২২
উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একইসঙ্গে এই দুর্ভিক্ষকে তিনি ‘সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এক প্রতিবেদনে সর্তক করে বলা হয়, মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মধ্যে যেকোনো সময় উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। এরপরই মূলত এই আহ্বান জানালেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গাজার উত্তরাঞ্চলে আসন্ন দুর্ভিক্ষ একটি সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট বিপর্যয়। এই অকল্পনীয়, অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক কাজকে আমাদের এখনই প্রতিরোধ করতে হবে।’
এর আগে, জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। ফলে গাজার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির ৭০ শতাংশেরও বেশি ক্ষুধার সম্মুখীন হবেন।
সোমবার ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধার জ্বালায় পশুখাদ্য খাচ্ছে, ময়লা-আবর্জনায় খাবার খুঁজে বা ভিক্ষা করছে। ইতোমধ্যে উত্তর গাজায় ইসরাইলি অবরোধের কারণে অপুষ্টিতে ২৭ শিশু মারা গেছে।
এদিকে গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ৭২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৭৩ হাজার ৭৯২ জন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা আশ্চর্যজনকভাবে ইসরাইলে হামলা চালায়। এতে করে অন্তত ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়। এছাড়া ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। তবে এই হামলায় নিরীহ ফিলিস্তিনিরাই নিহত হচ্ছেন।
সারাবাংলা/এনএস