শেকৃবির রূপে পরিবর্তনের ছোঁয়া
১৯ মার্চ ২০২৪ ১১:২৭ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৩:৪৪
শেকৃবি: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) বসন্তে সেজেছে এক অনন্য সৌন্দর্যে। শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের শহুরে জীবনের বিপরীতে মনোমুগ্ধকর অনুভূতি দিচ্ছে এই ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যান্ডস্কেপসহ বিভিন্ন স্থানে এসেছে নানা পরিবর্তন। শেকৃবিতে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য গঠিত কমিটির পরিকল্পিত কাজে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের।
শেকৃবি ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনের সামনের কাউ-শেড এবং খামার বিভাগ স্থানান্তর করা, জার্মপ্লাজম সেন্টার তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগানো, কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে, শেরেবাংলা হলের পশ্চিম পার্শে শেখ লুৎফর রহমান হল সংলগ্ন পরিত্যক্ত কোয়ার্টার স্থানান্তর করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস উপহার দিতে পেরেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সময়ে পরিবেশগত ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। এখন ক্যাম্পাস কে সাজানো গোছানো মনে হয়। তবে পরিচ্ছন্নতা আরেকটু বৃদ্ধি করলে এবং রাস্তার দুইপাশে থাকা গাছগুলো না কাটলে হয়তো এই ক্যাম্পাস আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠত।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থী সিফাতুল্লাহ আমিন বলেন, ‘শীতকালে কুয়াশা আচ্ছন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাস্তার দুই পাশের গাছ পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে অসংখ্য সবুজের বিস্তার ভিন্নরকম এক অনুভূতি তৈরি করেছিল। বসন্তে তা রঙিন ফুলে সেজেছে। তবে ক্যাম্পাসের কিছু জায়গায় গড়ে ওঠা বস্তি স্থানান্তর করা প্রয়োজন বলে মনে করি।’
শেকৃবির সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশগত পরিবর্তনে অনেকটা সফল হয়েছি। ক্যাম্পাসে থাকা পরিত্যক্ত বিভিন্ন ভবন ভেঙে জায়গা উন্মুক্ত করায় সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। টিএসসির সামনে থাকা পরিত্যক্ত ভবন ও খামার ভেঙে জায়গা উন্মুক্ত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘যেকোনো সময়ের তুলনায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ এখন অনেক বেশি নান্দনিক হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে নতুন করে প্রথমবারের মতো বাগান করা হয়েছে। টিএসসির সামনের জায়গাটিতে মুক্তমঞ্চসহ সবুজায়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় আগত অতিথি, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
সারাবাংলা/এনএস