একটুখানি বৃষ্টিতেই নগরজুড়ে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি
১৯ মার্চ ২০২৪ ১৮:১৬
ঢাকা: চৈত্রের খরতাপে স্বস্তি এনেছিল এক পশলা বৃষ্টি। কিন্তু সেই বৃষ্টিই পরে রাজধানীবাসীর জন্য পরিণত হয়েছে দুর্ভোগে। কারণ দুপুরের বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার বেশকিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি শেষ হওয়ার এক-দুই ঘণ্টা পরও অনেক এলাকা থেকে পানি নামেনি। সড়ক, গলির কোথাও কোথাও এখনো হাঁটু পানি জমে রয়েছে।
এদিকে বৃষ্টি হলেই রাজধানীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। ব্যতিক্রম হয়নি এদিনও। বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতায় যানজটের তীব্রতা কেবল বেড়েছে। জলাবদ্ধতা আর যানজট মিলিয়ে নগরবাসীর অবস্থা বেহাল।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ঘণ্টাখানেক। বৃষ্টিতে ছোট-বড় সড়কগুলোর অধিকাংশ প্রায় ডুবে গেছে। বাদ যায়নি নিচু স্থানের দোকানপাটও।
আরও পড়ুন- রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি, ঝড়ের পূর্বাভাস সারাদেশে
রাজধানীর কাকরাইল, পল্টন, শান্তিনগর, রাজারবাগ, মৌচাক, মগবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও হাঁটুপানির চেয়েও বেশি পানি জমে গেছে। অফিস ছুটির আগে আগে বৃষ্টি হওয়ায় সড়কে জল, যান আর জনজটে একাকার পরিস্থিতি।
এদিকে মূল সড়কের পাশাপাশি দেখা গেছে অলিগলিও ডুবে গেছে পানিতে। পানি উঠে গেছে দোকানপাটেও। শান্তিনগরের ফুটপাথের দোকানদার দুলাল হোসেন সারাবাাংলাকে বলেন, কোনোমতে মালামাল সরিয়েছি। কিন্তু অনেককিছুই পানিতে ভিজে গেছে।
শান্তিনগর কাঁচাবাজারে পানি হাঁটু সমান। সেখানকার ব্যবসায়ী মুনির বলেন, সবজি ভেসে যাওয়ার পরিস্থিতি হয়েছে। এখন কী করে সামলাব, বলেন?
মৌচাক মার্কেটের ব্যবসায়ী মিলন আহমেদ বলেন, দুপুরের পর থেকে হাঁটু পানি দোকানে। সেই সঙ্গে ভেসে আসছে ময়লা।
জলাবদ্ধতায় সড়কে গাড়ি অকেজো হয়ে পড়ে থাকতেও দেখা গেছে। বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গেলে সেগুলোকে মাঝপথেই বিকল অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখো গেছে।
রাজধানীর জলাবদ্ধতা কমাতে ওয়াসার আওতায় থাকা ২৬ খাল দুই সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছে বেশ আগেই। তাতেও আশানুরূপ সুফল চোখে পড়েনি। সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও জলাবদ্ধতা নিরসনে বারবার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও তার কিছুই কাজে আসেনি।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর