১৩ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আমান উল্লাহ আমানের জামিন
২০ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৬
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আমানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন আমান উল্লাহ আমান। একই সঙ্গে আপিলে জামিন আবেদনও করা হয়।
গত বছরের ৩০ মে দুর্নীতির মামলায় আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের দণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন আদালত।
আপিলের পুনঃশুনানির পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এরপর গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আমান উল্লাহ আমান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ক্যানসারের রোগী বিবেচনায় তাকে জামিন দেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুনীর্তি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে আমান উল্লাহ আমান আপিল বিভাগের এই রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন। পরে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর হাইকোর্ট বিভাগে এ আপিলের পুনঃশুনানি হয়।
এরপর গত বছরের ৩০ মে হাইকোর্ট বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের দণ্ড বহাল রাখেন। পাশাপাশি বিচারিক আদালত হাইকোর্টের রায় গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ