পুতিনকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
২১ মার্চ ২০২৪ ১৫:০১
ঢাকা: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
সদ্য সমাপ্ত রুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন ৮৭ দশমিক ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) সেদেশের নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেছে। এর আগে গত শুক্রবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় রোববার।
পুতিন ভোটের হিসেবে পেয়েছেন সাত কোটি ৫০ লাখের বেশি ভোট। তার এই ভোটপ্রাপ্তির সংখ্যা একটি নতুন রেকর্ড। এছাড়া পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হওয়াও একটি রেকর্ড। পুতিন এবারের মেয়াদ অর্থাৎ ছয় বছর পূর্ণ করতে পারলে তিনি সোভিয়েত আমলের প্রেসিডেন্ট জোসেফ স্ট্যালিনকে পেছনে ফেলে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি শাসকে পরিণত হবেন।
এবারের নির্বাচনে পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নিকোলে খারিটোনভ পেয়েছেন ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ, নিউ পিপল পার্টির ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ পেয়েছেন ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির লিওনিড স্লুটস্কি ৩ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এ বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটার টার্নআউটেও রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন। ১৯৯১ সালের রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ রুশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রেকর্ড ভোট পেয়ে আবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন পুতিন
২০০০ সাল থেকে ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতায়। তিনি কখনও প্রেসিডেন্ট এবং কখনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকছেন। ২০০০ সালে পুতিন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। টানা দুই মেয়াদের পর ২০০৮ সালে সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারেননি পুতিন। সেবার তিনি রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তার রাজনৈতিক মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ।
মেদভেদেভ প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায়ই প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়। ২০১২ সালে পুতিন ফের প্রেসিডেন্ট হয়ে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর ফের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নিবাচিত হন পুতিন। এর মধ্যে ২০২০ সালে রাশিয়ার সংবিধান সংস্কার করা হয়। এতে পুতিন আবার ২০২৪ সালের নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হন।
সারাবাংলা/এনআর/এনইউ