কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ব্যারিস্টার কাজল
২১ মার্চ ২০২৪ ২০:৩০
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বার কাউন্সিলের সদস্য ও বিএনপিপন্থী নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারামুক্তির পর ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট ডাকাতি সফল করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য কারাগারে আমাকে পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির তথাকথিত ভোট গণনার নামে সুপ্রিম কোর্টে যে হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড করা হয়েছে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এবং আগামী দিনে এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
এর আগে, বুধবার (২০ মার্চ) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। গত ১৮ মার্চ ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোরশেদ আলমের আদালতে ব্যারিস্টার কাজলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। এরপর তার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির মামলায় সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজলকে গত ১৪ মার্চ রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে, চার দিনের রিমান্ড শেষে ব্যারিস্টার কাজলকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে ব্যারিস্টার কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদে কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ৭ মার্চ রাতে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ৮ মার্চ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ব্যারিস্টার কাজলসহ ছয় আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তারা সবাই হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম