বাজার অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে বিএনপি: সেতুমন্ত্রী
২২ মার্চ ২০২৪ ১৪:০২
ঢাকা: ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি দেশের বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ধরনের কর্মসূচিকে পাগলামি ও অবাস্তব কর্মকাণ্ড বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বানের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কতটা দেউলিয়া, উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন, কতটা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের কথা বলতে পারে একটা দল। বয়কটের নামে তারা (বিএনপি) আমাদের বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এটা পাগলামি আর অবাস্তব কর্মকাণ্ড ছাড়া কিছু নয়।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে না আসার ভুলের খেসারত দিতে গিয়ে বিএনপি উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছে। মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির প্রায় সব নেতারাই জেল থেকে বেরিয়েছে, তারপরও তাদের বিবৃতির শেষ নেই। বিএনপির এমন আচরণে ভারতের সঙ্গে এদেশের সম্পর্কের কোনো ঘাটতি হবে না। হাঁটুভাঙা কোমর ভাঙা দল নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো ভাবনা নেই। ভারতীয় পণ্য যারা বয়কট করবে, বাংলাদেশের মানুষও তাদের বয়কট করবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির এক নেতা গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চান, আবার আরেক নেতা ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দেন। আসলে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেরা দিশেহারা হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনো সমাধান হয়নি, কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে সমাধান সম্ভব হবে।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘একজন নেতা নিজের চাদর ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন তুলে ধরেছে। এটা কতটা অবাস্তব? এটা কী করে সম্ভব? আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়।’
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ হবে, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এ সমাবেশের আয়োজন করবে। আমাদের একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করব। সে জন্য অনুষ্ঠানটি বাইরে করব।’
ভারতের ভূমি দিয়ে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারত অসম্মত হবে না বলে মনে করেন সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ভুটানের রাজা বাংলাদেশ আসছেন। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করবেন। ভুটানের রাজার পরিবারের সঙ্গে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক সম্পর্ক আছে। ভারতের ভূমি ব্যবহার করে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারত অসম্মত হবে না বলে মনে করছি।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, উপদফতর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস