‘থোকায় থোকায় ঝুলছে সুগন্ধি সবুজ লেবু’
২৩ মার্চ ২০২৪ ০৮:৩০
বেনাপোল: যশোরের শার্শায় লেবু চাষ করে প্রথমবারেই সাফল্য পেয়েছেন তরুণ কৃষি উদ্যেক্তা জাহাঙ্গীর আলম। সাড়ে তিন বছর আগে তার তৈরি করা বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ রঙের সুগন্ধি লেবু। লেবু চাষে তার এমন সাফল্য দেখে এলাকার অনেক মানুষ উৎসাহিত হয়েছেন।
পাইকাররা বাগানে এসেই কিনছেন লেবু। তাই বাজারজাত করার বাড়তি ঝামেলা নেই। প্রতি পিস লেবু তিনি ৫ টাকা করে বিক্রি করেছেন। লেবুর ভালো দাম পেয়ে কৃষক জাহাঙ্গীর আলম অনেক খুশি। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন এলাকা থেকে আগ্রহী চাষিরা তার এ বাগান দেখে লেবু চাষে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, লেবু চাষে খরচ কম, লাভের পরিমাণ অনেক বেশি। চারা লাগানোর এক বছর পর থেকেই ফলন পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা করলে একবার চারা রোপণের পর একাধারে অন্তত ১০-১৫ বছর পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। সারা বছরই লেবুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ এ লেবু অনেক উপকারী বলে বর্তমানে বাজারে এর চাহিদা আরও বেড়েছে।
কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ব্যবসার পাশাপাশি ইউটিউব দেখে সাড়ে তিন বছর আগে তিনি আড়াই বিঘা জমিতে উন্নত পদ্ধতিতে সাড়ে তিনশ চায়না-৩ সুগন্ধি (লেবু) চারা রোপণ করেন। চারা কেনা, গর্ত তৈরি, সার ও অন্যান্য খরচ মিলে তার প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। চারা রোপণের এক বছরের পর থেকেই তার লেবু গাছে ফল ধরা শুরু হয়।
সরজমিনে বাগানে দেখা যায়, ছোট ছোট গাছে ঝুলছে থোকায় থোকায় লেবু। প্রতিটি গাছে ২০০-২৫০টি করে ফল ধরেছে। ইতোমধ্যে তিনি ২০ হাজার লেবু বিক্রি করেছেন। ৫ টাকা দরে ১ লাখ টাকা। আরও প্রায় ৩০ হাজার লেবু বিক্রি করা যাবে।
এছাড়া এ বাগান থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫০-৬০ হাজার পিস বিক্রি করেন বলে জাহাঙ্গীর আলম জানান।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা বলেন, ‘উপজেলার গোগা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নিজ উদ্যোগে জমিতে লেবু বাগান করে সফল হযেছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমরা লেবুসহ মাল্টা, আম ও অন্যান্য ফল চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি।’
আর প্রতিটি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের পাশে থেকে লেবুসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল চাষে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।
সারাবাংলা/এমও