‘সর্বজনীন পেনশন’ নীতিমালা নিয়ে ইবি শিক্ষকদের অসন্তোষ
২৩ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৫
ইবি: সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় সম্প্রতি সর্বজনীন পেনশনবিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি তা প্রত্যাখান করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
শনিবার (২৩ মার্চ) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানের সই করা এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ হতাশ ও সংক্ষুব্ধ। সর্বজনীন নাম দেওয়া পেনশন স্কিম সর্বজনীন না করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য এরূপ বিশেষ বৈষম্যমূলক পেনশন ব্যবস্থা চালুর তীব্র বিরোধিতা করছে ইবি শিক্ষক সমিতি।
তারা আরও বলেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্যই এ ধরনের একপেশে নীতি অনুসরণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ পেশা থেকে মেধাবীরা মুখ ফিরিয়ে নেবে। সর্বোপরি, ঘোষিত প্রজ্ঞাপন শিক্ষকসমাজের জন্য অবমাননাকর।
প্রজ্ঞাপন বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনটি তীব্রভাবে প্রত্যাখান করে অনতিবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা পুরো সর্বজনীন স্কিমটা প্রত্যাহার করতে চাই না। আমাদের দাবি হলো পেনশনের ক্ষেত্রে সরকারি অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেভাবে দেখা হচ্ছে একইভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মাচারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে যেসব তরুণ শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হবে তারা এটা থেকে বঞ্চিত হবে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যুক্ত না করলে হাইস্কুলের শিক্ষক ও বিভিন্ন করপোরেশনের কর্মকর্তাদের মতো করে তারা পেনশন সুবিধাটা পাবে। অর্থাৎ যা জমা দেবে তাই পাবে। রাষ্ট্র থেকে আর কিছুই পাবে না। এটা আসলে বৈষম্যমূলক।’
সারাবাংলা/পিটিএম