Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শহিদ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় ‘মধু দা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫২

ঢাকা: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে শহিদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের স্বত্বাধিকারী মধুসূদন দে। চা দোকানি হয়েও ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখ এই ‘মধু দা’ রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধের আন্দোলন-সংগ্রামে দিয়েছেন প্রেরণা। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের সহযোগিতা করেছেন, উদ্ধুদ্ধ করেছেন, বিনা পয়সায় চা খাইয়েছেন। এ সব বিবেচনায় মধুর ক্যান্টিনের ‘মধু দা’কে শহিদ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় রেখেছে সরকার।

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করা হলেও এতদিন অনেকটা আড়ালে ছিলেন শহিদ বুদ্ধিজীবীরা। এবার তালিকা প্রস্তুত করেছে সরকার। গত তিন বছর ধরে চার ধাপে এই তালিকা প্রকাশও করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। সবশেষ ধাপে প্রণয়ন করা ১১৮ জন শহিদ বুদ্ধিজীবির তালিকায় স্থান পেলেন মধুসূদন দে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার (২৪ মার্চ) এ তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধু দা। উনি এমন এক ব্যক্তি ছিলেন…শিক্ষকও না, গবেষকও না, শিল্পীও না। উনি এমন এক ব্যক্তি সবাই তাকে চেনেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যত আন্দোলন হয়েছে দেশের স্বাধীনতার জন্য, সেই রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলন… যেখানে ওনার অন্যন্য ভূমিকা ছিল। সেই হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় তালিকায় তাকে অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে।’

‘মুধ দা সিম্পলি একজন চায়ের দোকানদার। বলতে পারেন উনি কীভাবে বুদ্ধিজীবী হয়? বাট ওনার যে কনট্রিবিউশন (অবদান), সেই ২৩ বছরে যত নেতা যত কর্মী দেশের জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সহযোগিতা করেছেন, উদ্ধুদ্ধ করেছেন, বিনা পয়সায় চা খাইয়েছেন। এই কারণে একটা ব্যতিক্রম। আমরা মধু দা ছাড়া কোনো ব্যতিক্রম করিনি। এটি এক্সপেশন। দেশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক যত আন্দোলন হয়েছে, সবগুলোতেই তার ভূমিকা ছিল।’

তালিকায় মধুসূধন দে বা মধুদার বাবার নাম লেখা হয়েছে আদিত্ত্ব চন্দ্র দে, মায়ের নাম লেখা হয়েছে যোগমায়া দে। গ্রাম বা মহল্লা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, থানা-রমনা, জেলা-ঢাকা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত তার একটা সনদও আছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু তাকে (মধু দা) বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।’

মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তী নানা আন্দোলনে মধুর ক্যান্টিনের ভূমিকা ছিল অনন্য। ছাত্রনেতারা মধুর ক্যান্টিনে বসে রাজনৈতিক কাজকর্ম চালাতেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে মধু দার রেস্তোরাঁয় অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পরিকল্পনা হয়েছে। এ কারণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শত্রুতে পরিণত হন তিনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে জগন্নাথ হল থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং সে রাতেই হত্যা করে।

সারাবাংলা/জেআর/একে

টপ নিউজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বুদ্ধিজীবী মধুর ক্যান্টিন মধুসূদন দে শহিদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর