স্বাধীনতা দিবস বরণে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
২৫ মার্চ ২০২৪ ১৪:২৩ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪ ০১:৩৩
সাভার (ঢাকা): মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপনে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। উদ্যাপনের প্রস্তুতি হিসেবে প্রায় এক মাস ধরে চালানো হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম। স্বাধীনতা দিবসের সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত হবে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগের শতাধিক কর্মীর নিরলস পরিশ্রমে সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধ এলাকাটি যেন নতুন রূপ পেয়েছে। ধুয়ে-মুছে পরিপাটি করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ চত্বরের প্রতিটি স্থাপনা ও পায়ে হাঁটার পথ। লাল ইটে সাদা রঙের শুভ্রতায় নান্দনিক হয়ে উঠেছে পুরো সৌধ এলাকা।
স্মৃতিসৌধ চত্বরের চারপাশের টবে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের রঙিন ফুল আর পাতাবাহার গাছ। লেকগুলোতে ফুটেছে লাল শাপলা। এরই মধ্যে নিরাপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। গোটা এলাকা নজরদারির জন্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) বসানোর কাজও শেষ।
এদিকে এ বছর স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তিনি। স্মৃতিসৌধে তার আগমন ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে জেলা পুলিশ।
স্মৃতিসৌধ এলাকায় একদম শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত ছিলেন গণপূর্তের কর্মী আব্দুল কাদের। তিনি বলেন, ধোয়া-মোছা, গাছপালা ছাঁটা, লেক সংস্কার, রঙ করা, আলোকবাতি ও সিসিটিভি লাগানোসহ সব কাজই প্রায় শেষ। আমরা সৌধের বিভিন্ন স্থানে ফুল ও পাতাবাহারের টব বসিয়েছি। বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ লাগানো হয়েছে। আমরা স্মৃতিসৌধকে সুন্দর করে তুলতে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
নুরুল ইসলাম নামে আরেক কর্মী বলেন, আমরা স্মৃতিসৌধের বেদি পর্যন্ত পায়ে হাঁটার সবগুলো পথে লাল ইটে সাদা রঙের নকশা করে দিচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে এই কাজটি শেষ করে আনা হয়েছে। এ ছাড়া ল্যাম্প পোস্টসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও কাঠের তৈরি জিনিসপত্রও রঙ করে সুন্দর করা হচ্ছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ জন্য প্রায় এক মাস ধরে শতাধিক কর্মীকে দিয়ে গোটা এলাকা একদম নতুনের মতো করে সাজানো হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের প্রস্তুতি শেষ, স্মৃতিসৌধ গোটা জাতির শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
স্মৃতিসৌধ এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবার ভুটানের রাজা যাবেন স্মৃতিসৌধে। এ কারণে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি ড্রোন দিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে সার্বিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
সারাবাংলা/টিআর