২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে: ঢাবি উপাচার্য
২৬ মার্চ ২০২৪ ০৯:৩০
ঢাবি: ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ অভিযানের নামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিচালিত নারকীয় হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
তিনি বলেন, ‘গণহত্যার সংজ্ঞা অনুযায়ী এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি রাখে। এই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে এখনো যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন তারা সতর্ক হবেন।’
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, অধ্যাপক মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে স্মৃতি চিরন্তনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
আলোচনা সভায় উপাচার্য বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের নিরস্ত্র ও নিরীহ মানুষের উপর যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তা ছিল পরিকল্পিত। পাকিস্তানি শাষকগোষ্ঠী বুঝে গিয়েছিল যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদেশের স্বাধীনতার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গণআন্দোলন গড়ে উঠবে এবং এই আন্দোলন তারা দমিয়ে রাখতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘এ কারণেই ২৫ মার্চ রাতে হানাদার বাহিনীর অন্যতম টার্গেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, রোকেয়া হল, শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল (তৎকালীন ইকবাল হল), ঐতিহাসিক বটতলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে শান্তিপ্রিয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের উপর নৃশংসতম গণহত্যা চালায়। এ ধরনের গণহত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যকোনো দেশে কখনো ঘটেনি।’
আলোচনাসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা এদেশের মানুষের উপর যে নিষ্ঠুর, নির্মম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার অন্যতম স্বাক্ষী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তার ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।’
আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জগন্নাথ হল গণসমাধিতে মোমবাতি প্রজ্বলন ও শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অনেকে।
সারাবাংলা/আরআইআর/এনএস
১৯৭১ সাল ২৫ মার্চ ২৫ মার্চ কালরাত অপারেশন সার্চলাইট ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল