Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গণতন্ত্র বাদ দিয়ে বাকশাল-টু কায়েম করেছে সরকার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৭

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. মঈন খান। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ‘গণতন্ত্র’ বাদ দিয়ে সরকার দেশে বাকশাল-টু কায়েম করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ অভিযোগ করেন।

ড. মঈন খান বলেন, ‘আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, যে আদর্শ নিয়ে এই দেশের লাখ লাখ মানুষ একাত্তরে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, যে আদর্শের জন্য যুদ্ধ করেছিল তার নাম ছিল গণতন্ত্র। এবং তার উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা। আজ ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের একটিই প্রশ্ন— সেই গণতন্ত্র কোথায় গেল? সেই দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি কোথায় গেল?’

তিনি বলেন, ‘একটি সরকার আজ জোর করে বসে আছে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা মুখে বলে গণতন্ত্র। কিন্তু,বাস্তবে করেছে একদলীয় শাসন। তারা এবার গণতন্ত্র বাদ দিয়ে বাকশাল-টু কায়েম করেছে। এটা আমার কথা নয়, বিশ্ববাসীর কথা।’

মঈন খান বলেন, ‘আজ আপনারা দেখেছেন কীভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে কত হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে, মেগা উন্নয়নের নামে কীভাবে মেগা দুর্নীতি হয়েছে। ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য যারা বিরোধী দল তাদের বিরুদ্ধে এক লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে, আসামি করা হয়েছে ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘এখানে যদি মানুষের ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকে, এ দেশে যদি মানুষের গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ না থাকে তাহলে আজকে প্রশ্ন কেন তারা (শহিদ মুক্তিযোদ্ধা) এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন? সেই প্রশ্নের উত্তর সরকারকে দিতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

মঈন খান বলেন, ‘যখন সেই ২৫ মার্চের কালরাতে পাক হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপরে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সে দিন আজকের যে আওয়ামী লীগ যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি বলে দাবি করে তারা সেইদিন কেন পলায়নপর ভূমিকা নিয়েছিল— সেই প্রশ্নের উত্তরও আওয়ামী লীগকে দিতে হবে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহানগর বিএনপির উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আবু আশফাক খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াসীন আলী প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

ড. মঈন খান বাকশাল বিএনপি স্বাধীনতা দিবস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর