Saturday 19 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা নিয়ে এসেছি: মেয়র তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ মার্চ ২০২৪ ১৭:১৭

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মেয়র তাপস। ছবি: ডিএসসিসি

ঢাকা: বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের মাধ্যমে শৃঙ্খলা আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে ৬৯ ওয়ার্ডের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে মেয়র কোনাপাড়া থেকে গলাকাটা সেতুসংলগ্ন খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেখেছি যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং প্রাণহানিও ঘটেছে। আমাদের নিয়মিত গাড়িচালক ছিল না। যানবাহনগুলো সবই প্রায় পুরনো ও লক্কর-ঝক্কর ছিল। ফলে সংগ্রহ ও সরবরাহব্যবস্থা খুবই নাজুক ছিল। ময়লা-আবর্জনা উন্মুক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকত।

দায়িত্ব নিয়ে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটিয়েছেন উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, অনেকটা উত্তরণ ঘটিয়েছি। নিজস্ব অর্থায়নে ২৫টি ডাম্প ট্রাক কিনেছি। নতুন প্রায় ১০০ জন নিয়মিত ভারী গাড়িচালক নিয়োগ দিয়েছি। আগে যাকে তাকে দিয়েই গাড়ি চালানো হতো, সেটা এখন নেই বললেই চলে। পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সংস্কার করেছি। এখন আর রাস্তায় উন্মুক্তভাবে বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায় না। এভাবেই আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করছি, শৃঙ্খলায় নিয়ে আসছি।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ধাপে ধাপে উন্নতি করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, একটি শহর যত বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে সেই শহরের নান্দনিকতা ও সৌন্দর্য ততই বাড়বে। আগে ঢাকা শহরে নালা-নর্দমা, হাঁটার পথসহ যেখানে-সেখানে বর্জ্য পড়ে থাকত। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডেই একটি করে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এসব কাজ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, জায়গার অভাবে আমরা এ পর্যন্ত ৬৪টি ওয়ার্ডে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করতে পেরেছি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটি নিয়ে ৪০তম বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। আগে আমাদের ২৪টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ছিল। আর মাত্র ১১টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করলেই পুরো ঢাকা শহর আমাদের এই কার্যক্রমে আওতায় চলে আসবে।

এডিস মশার প্রকোপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতবার যে সব এলাকায় ১০ জনের বেশি রোগী পাওয়া গেছে সে সব এলাকায় আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। সচেতনতা বাড়াতে আমরা থানা, আবাসন, প্রাথমিক-উচ্চ ও মহাবিদ্যালয়ে যৌথভাবে অভিযান করেছি। এর মাধ্যমে সচেতনতা যেমন বেড়েছে তেমনি জনগণের সম্পৃক্ততাও বেড়েছে। কিন্তু তারা যদি দায়িত্বশীল হয়ে কোথাও পানি জমতে না দেয়, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখে তাহলেই আমরা এডিস মশার প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দিতে পারব, তাহলেই আমরা ১০০ ভাগ সফল হতে পারব। তা না করতে পারলে আমাদের এই প্রতিবন্ধকতা থেকেই যাবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদ, অঞ্চল-৮-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এম জে আরিফ বেগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভুঁইয়া, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের সালাহউদ্দিন আহমেদ, ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মাসুদর রহমান মোল্লা, ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মতিন সাউদ ও সংরক্ষিত আসনের মাহফুজা আক্তার হিমেল উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

টপ নিউজ ডিএসসিসি মেয়র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মেয়র তাপস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর