Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বউদের ভারতীয় শাড়িগুলো পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন?’

সারাবাংলা ডেস্ক
২৭ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৩

আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি নেতাদের স্ত্রীদের যেসব ভারতীয় শাড়ি রয়েছে সেগুলো প্রকাশ্যে পুড়িয়ে দিলে তবেই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাককে বিশ্বাসযোগ্য মনে করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে তিনি সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, আরেকটি কথা না বলে পারছি না। দেখলাম বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে আগুন দিচ্ছেন, ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করবেন না। এরপর আবার দেখা গেল, কিছু চাদর কিনে এনে পোড়ানো হলো। আচ্ছা শীতকাল তো চলে গেছে, এখন চাদর পোড়ালে আর কী আসে-যায়?

প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, আমার প্রশ্ন— যে নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? তাহলে বউদের কাছ থেকে সেই শাড়িগুলো এনে কেন পুড়িয়ে দিচ্ছেন না? আপনারা সবাই একটু এই কথাটা বিএনপি নেতাদের জিজ্ঞাসা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতাদের বলব— যারা যারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউয়েরা যেন কোনোমতে কোনো ভারতীয় শাড়ি না পরেন। আলমারিতে যে কয়টা (ভারতীয়) শাড়ি আছে, সব এনে যেদিন ওই অফিসের সামনে পোড়াবেন, সেদিন বিশ্বাস করব যে আপনারা সত্যিকার অর্থে ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আমাদের দেশের জন্য আমরা গরম মসলা, পেঁয়াজ, রসুন-আদা আমদানি করি। মিজোরাম থেকে আমরা আদা আনি। মসলাপাতি, আদা ভারত থেকে যা কিছু আসছে, তাদের কারও পাকের ঘরে যেন এই ভারতীয় মসলা দেখা না যায়। তাদের রান্না করে খেতে হবে এইসব মসলা ছাড়াই। কাজেই এটা তারা খেতে পারবেন কি না, সেই জবাবটা তাদের দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আপনারা রঙ-ঢঙ-সঙ করতে ওস্তাদ— এটা আমরা আগেও দেখেছি। বাস্তব কথায় আসেন। আপনারা এই পণ্যগুলো সত্যিকার বর্জন করেছেন কি না, সেই কথাটাই আমরা জানতে চাই— বলেন শেখ হাসিনা।

বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বুদ্ধিটা যখন অন্য খাতে চলে যায়, তাদের মতিভ্রম হয়ে যায়। তখন আর এর কোনো দাম থাকে না। সেটা নির্বুদ্ধিতায় পরিণত হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র খুঁজে বেড়ায়। কোথায় পাবে তারা গণতন্ত্র? তাদের চোখে তো স্বৈরতন্ত্রের ঠুলি পরানো। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর দেশে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে প্রতি রাতে কারফিউ থাকত। এমনকি একাশি সালে যখন দেশে ফিরলাম, তখন দেখি রাত ১১টার মধ্যে ঘরে ফিরতে হচ্ছে। সারারাত কারফিউ। সেই ‘কারফিউ গণতন্ত্র’ বা ‘মার্শাল ল’ গণতন্ত্র যে জিয়াউর রহমানের, তার দল বিএনপি এখন বোধহয় সেই গণতন্ত্রই খুঁজে বেড়াচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে একটি অদ্ভুত কাণ্ড আমরা দেখি— অতি ডান (ডানপন্থি) ও অতি বাম (বামপন্থি) এখন এক জায়গায় হয়ে গেছে। তাদের আদর্শটা কী? তাদের নীতিটা কী? তারা কোনো কিছুতেই ভালো খুঁজে পায় না। অতি বামে বেশ কিছু দল আছে, তারা একেবারে বিপ্লব করবে, যে বিপ্লব করতে করতে তারা এখন ক্ষয়িষ্ণু হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা সভাপতি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ অন্যরা আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও সহপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আওয়াল শামীম। বাসস।

সারাবাংলা/টিআর

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় পণ্য বর্জন শেখ হাসিনা স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা

বিজ্ঞাপন

২৫ নভেম্বর ঢাকায় সংহতি সমাবেশ
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৩

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর