টেন্ডারে অনিয়ম: বশেমুরবিপ্রবির প্রকল্প পরিচালক বহিষ্কার
২৮ মার্চ ২০২৪ ২০:৫৫
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) পরিকল্পনা দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে সব ধরনের দাফতারিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বশেমুরবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করে বোর্ডের সব সদস্যদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তুহিন মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে তুহিন মাহমুদকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) থেকে তার এই বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনাকাটার বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তুহিন মাহমুদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসিরুদ্দিনের খুলনা শিপইয়ার্ড দুর্নীতির অভিযোগসংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৭তম রিজেন্ট বোর্ড সভার ৩৭/২০ নম্বর সিদ্ধান্তে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের সময়ে কেনা আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির বিল ভাউচার যথাযথ আছে কি না, তা পরীক্ষা এবং প্রস্তাবিত কাগজের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে যায় এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য তুহিন মাহমুদকে সেখানে থাকার জন্য নির্দেশনা দেন। কিন্তু তুহিন সেখানে উপস্থিত হননি। কমিটির সদস্য ড. মো. ফরিদুল আলম অভিযোগ করেছেন, এর মাধ্যমে তুহিন মাহমুদ তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের যথার্থতা যাচাইয়ে করেছেন এবং কমিটিকে চরম অসহযোগিতা করেছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম অভিযোগ করেছেন যে তুহিন মাহমুদ উপাচার্যের অনুমোদন ছাড়া বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ক্রয় কার্যাদেশ সংক্রান্ত অফিস আদেশসহ বিভিন্ন চিঠি জারি করেছেন। এসব কার্যক্রম সরকারি কর্মচারী আইনের পরিপন্থি বলে রিজেন্ট বোর্ডের সব সদস্য একমত পোষণ করেছেন।
এসব অভিযোগ পর্যালোচনা করে রিজেন্ট বোর্ডের ৩৮/০৮(ক) নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তুহিন মাহমুদের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্ত ও সব ধরনের দাফতরিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, তুহিন মাহমুদ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে অসহযোগিতা করেছেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই বেশকিছু চিঠিপত্র ও অফিস আদেশও দিয়েছেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সাময়িক বহিষ্কৃত প্রকল্প পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) তুহিন মাহমুদের মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সারাবাংলা/টিআর