Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, শুনলে হাসি পায়’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪০

ঢাকা: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপি নেতাদের এমন কথা শুনলে আমার হাসি পায়।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ‘স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। এখন বিএনপি নেতারা যখন বলেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক তখন তাদের কথায় আমার হাসি পায়।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র আপনারা এখন ঢাকা থেকে শুনতে পারেন কিনা আমি জানি না। এখন চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের ক্ষমতা ১০০ কিলোওয়াট। আর ১৯৭১ সালে ছিল মাত্র ১০ কিলোওয়াট। ১০ কিলোওয়াট থেকে কোনরকমে ফেনী পর্যন্ত শোনা যেত। এর বাইরে থেকে শোনা যেত না। এই জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এখন এই জিয়াউর রহমানকে একজন খলনায়ক থেকে নায়ক বানানোর অপচেষ্ট চলছে।

তিনি আরও বলেন, আজকে বিএনপি নেতারা যেসব কথাবার্তা ও বিষেদগার করছেন। তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে -এজন্য জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের চর হিসেবে কাজ করেছিলেন সেটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়, তখন তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে তখন কেউ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কাজ করেছে, এমন খবর জানলে সেই পরিবারের ওপর পাকিস্তানিরা অকথ্য নির্যাতন করেছেন। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গণে যুদ্ধ করেন আর বেগম জিয়া পাকিস্তানিদের ক্যান্টনমেন্টে আরাম আয়েশে থাকেন, এটা কি সম্ভব যদি জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের দোষর না হন। এখানে তো সমস্ত কিছু পরিষ্কার আর কোন ব্যাখ্যা লাগার কারণ নাই। ব্যাখ্যার তো দরকারও নাই। জিয়াউর রহমান আসলে ছদ্মবেশে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে কাজ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছেন। সেই সেক্টর কমান্ডারদের নিয়োগকর্তা ছিলেন তৎকালীল বাংলাদেশের প্রথম সরকার। সেই সরকার সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ দেয় এবং তাদের ৪০০ টাকা করে বেতন ধার্য করা হয়। তখন জিয়াউর রহমান ৪০০ টাকা বেতন উত্তোলন করেছেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের অধীনে বেতনভুক্ত একজ কর্মচারী ছিলেন। তাই ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টায় তারা সফল হয় নাই। বিধায় তারা আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন। আজকে নতুন প্রজন্মের এসব জানার প্রয়োজন আছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বিএনপি স্বাধীনতার ইতিহাসকে যেমনি বিকৃত করছে তেমনি জনগণকেও বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। এ জন্য আজকে দেশে একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার। সেটি মুক্তিযুদ্ধের আগেও হয়েছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের পরেও চলমান ছিল। কিন্তু সেটি ’৭৫ এর সেটি হারিয়ে গেছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেটি অত্যন্ত প্রয়োজন। সাংস্কৃতিক জাগরণ ব্যতিরেকে সমাজ পরিবর্তন করা যায় না। আজকে আমাদের নতুন প্রজন্ম বিপথে চলে যাচ্ছে, অনেকে জঙ্গিবাদের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে এবং অনেকে বিপথে যাচ্ছে। সেটি থেকে মুক্ত করার জন্য দেশে একটি সত্যিকার সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার। আশা করব বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সেই লক্ষে কাজ করবে।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে তরুণের মৃত্যু
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১০

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর