Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উত্তরায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, টাঙ্গাইলের বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩০ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫০

ঢাকা: এবার রাজধানীর উত্তরায় অস্ত্রের মুখে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে তুরাগ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগী ছাত্রী তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন। তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি মোস্তফা আনোয়ার বলেন, ‘গতকাল থেকে ভুক্তভোগী থানায় ছিলেন। আজ টাঙ্গাইলের গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হওয়ার পর তাকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।’

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগীর বয়স ২০ বছর। তার বাড়িও টাঙ্গাইল জেলায়। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী, তাই তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে উত্তরায় থাকেন। কিছুদিন আগে ফেসবুকে বড় মনিরের সঙ্গে পরিচয় হয় ভুক্তভোগীর। এর পর মাঝে-মধ্যে অডিও ও ভিডিও কলে কথা বলতেন। গত ২৮ মার্চ বড় মনির হঠাৎ ফোনে ওই মেয়েকে মাসকট প্লাজার কাছাকাছি এসে সাক্ষাৎ করতে বলে। পরে মেয়েটি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সেদিন তাকে একটি হাইয়েচ গাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে নামিয়ে দেয়।

পরদিন রাত্রি সাড়ে ৭টার দিকে বড় মনির ফোন করে জানায়, তিনি উত্তরার জমজম টাওয়ারের পেছনে আছেন। সেখানে সে ওই মেয়েটিকে আসতে বলে। ভুক্তভোগী সেখানে গেলে বড় মনির রিকশায় করে এসে তাকে তুলে নেয়। এর পর প্রিয়াংকা সিটির পেছনের একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অস্ত্রের মুখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। তারপর ভুক্তভোগী জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিস্তারিত জানায়।

পুলিশ বলছে, শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে জরুরি সেবার ‘৯৯৯’নম্বর থেকে কল পেয়ে পুলিশ রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকার প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। তাকে জোর করে ওই বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। তবে বড় মনির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে জানায় ভুক্তভোগী।

ওই তরুণীর মায়ের অভিযোগ, তার মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করেছেন বড় মনির। এ ঘটনায় আরও এক নারী জড়িত রয়েছেন। এমনকি গতকাল থেকে পুলিশ মামলা নিতে টালবাহানা করছিল। তারা অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা দিতে চাপ দিচ্ছিল। গতকাল থেকে আমার মেয়েকে থানায় রাখা হয়েছে।

মামলা নিতে রাতভর কেন গড়িমসি করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তুরাগ থানার ওসি মোস্তফা আনোয়ার বলেন, ‘কে মামলা করবে তা নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ডিসিশন নিতে পারছিলেন না। আজ সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর মামলা রেকর্ড হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ চলছে।’

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

কলেজছাত্রী ধর্ষণ টপ নিউজ টাঙ্গাইল বড় মনির মামলা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর