Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মশা কেন মরছে না, গবেষণায় নামছে চসিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩০ মার্চ ২০২৪ ১৯:২২

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ওষুধ প্রয়োগের পরও মশা কেন মরছে না, সেটা খতিয়ে দেখতে গবেষণাগার চালুর ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীতে মশার প্রকোপ কমাতে নেয়া কর্মসূচির উদ্বোধন করে সিটি মেয়র এ ঘোষণা দেন। এসময় তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে মশার প্রকোপ কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এসময় মেয়র বলেন, ‘আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি গবেষণা দল গঠন করি। উনাদের বিজ্ঞানভিত্তিক পরামর্শের আলোকে বর্তমানে সর্বাধুনিক মশার ওষুধ ছেটানো হচ্ছে। আমাদের কাছে মশা ওষুধের পর্যাপ্ত মজুদও আছে। ৪১টি ওয়ার্ডেই নিয়মমাফিক মশা ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। কিন্তু এরপরও দেখা যাচ্ছে হালিশহরসহ কয়েকটি ওয়ার্ডে মশা কমছে না।’

‘অথচ একই ওষুধে অন্যান্য এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে আছে। এতে ধারণা করছি, বিদ্যমান ওষুধের বিরুদ্ধে মশার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে। অথবা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার জীবনচক্র বদলে যাচ্ছে।’

মশা নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞানভিত্তিক উপায় জানতে গবেষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখব, কোন ধরনের ওষুধ কোন ধরনের মশার জন্য কার্যকর। এরপর গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক ওষুধ ছিটানো এবং কার্যক্রম গ্রহণ করব।’

চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, নগরীর টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনের অষ্টম তলায় গবেষণাগারটি এপ্রিলের মধ্যে চালুর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

এদিকে শনিবার দুপুরে হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন মহেশখালে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু হয়। বর্ষা মৌসুমের আগ পর্যন্ত নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম চলবে বলে জানান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ কার্যক্রম প্রায় ১৫০ স্প্রে-ম্যান, ফগার অপারেটর ও পরিচ্ছন্নকর্মী অংশ নেন। কালো তেল, নাফতা মেশানো মাস্কুবান ও লার্ভিসাইড মহেশখালে ছিটানো হয়। এছাড়া কচুরিপানা অপসারণ ও ফগার মেশিনের মাধ্যমে এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হয়।

এসময় মেয়র বলেন, ‘সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম। ওয়ার্ড পর্যায়ে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। তবে কেবল ওষুধ ছিটিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ হবে না। নিজেদের বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে। নালা-খালে জমে থাকা পানি মশার গুরুত্বপূর্ণ প্রজননক্ষেত্র। এজন্য প্রতিদিন বিভিন্ন নালা-খাল পরিস্কার করছি। নালা-খালে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ থাকলে জলাবদ্ধতা হবে না।’

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর মো. ইসমাইল, মো. ইলিয়াছ ও আবদুল মান্নান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ

চসিক টপ নিউজ মশা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর