ঈদের ছুটি বাড়ানোর সুপারিশ
৩১ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫৯
ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। সেখানে আগামী ৯ এপ্রিলও ছুটি রাখার কথা বলা হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘কমিটির সুপারিশ আগামীকাল মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ফিটনেসবিহীন গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। শ্রমিকদের প্রাপ্য বেতন যাতে সময় মতো দেয়া হয় তার জন্য প্রয়োজনে বন্ধের দিন ব্যাংক খোলা রাখা হবে।’
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে সরকার রমজান ৩০ দিন ও ঈদুল ফিতর হচ্ছে ১১ এপ্রিল ধরে আগামী ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল ঈদের ছুটি নির্ধারণ করে রেখেছে।
তবে এর আগে ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি রয়েছে। শবে কদরের ছুটির পর ৮ ও ৯ এপ্রিল অফিস খোলা।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ছুটির ব্যাপারে কালকে একটা সুপারিশ যাবে সরকারের কাছে, একদিন বাড়ানো যায় কিনা! যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে। ৯ এপ্রিল ছুটির আওতায় আনা যায় কিনা, সেটার একটা সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদে যাবে। আগামীকাল মন্ত্রিসভার মিটিং আছে সেই মিটিংয়ে এই কমিটির একটা সুপারিশ যাচ্ছে।’
ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ তারিখ খোলা। এজন্য আমরা (৯ এপ্রিল বন্ধ রেখে) আগের শনিবার অফিস করতে পারি কিনা সেই বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সুপারিশ করেছি, যদি ১১ এপ্রিল ঈদ হয়, যাওয়ার জন্য একদিন মাত্র সময় পাবে। সে সেজন্য যানজটটা বাড়তে পারে, এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সেজন্য ৯ এপ্রিল ছুটি বিবেচনা করা যায় কিনা এই সুপারিশ আমরা দেব।’
শ্রমিকদের বেতন যাতে সময় মতো পরিশোধ করা হয় সে জন্য প্রয়োজনে ব্যাংক বেশিক্ষণ সময় খোলা রেখে, বন্ধের দিনও খোলা রাখে সুবিধা দিতে পারে, যাতে শ্রমিকদের মধ্যে কোন অসন্তোষ না হয়। শ্রমিকদের যাই প্রাপ্য থাকে সেগুলো যাতে সময় মতো পরিশোধ হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামীকাল মালিকদের সঙ্গে মিটিং করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন, বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে ফিটনেস নাই এমন গাড়ি ঈদের সময় চলাচল করে। এ সব গাড়ি রাস্তায় গিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চলাচল ব্যাহত হয়। যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়। সেজন্য ফিটনেসবিহীন এ সমস্ত গাড়ি যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য আগে থেকেই সতর্ক করা হবে।’ মিল-কল কারখানার শ্রমিকরা ছুটির পর একযোগে এসব গাড়ি ভাড়া করার তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছেন মোজাম্মেল হক।
সারাবাংলা/জেআর/এমও