Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ছাত্রলীগ জানে, কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়: সভাপতি

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৩১ মার্চ ২০২৪ ১৬:২৭

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ জানে, কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়। ছাত্রলীগ সভাপতির দাবি—রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অন্যায্য, অসাংবিধানিক এবং নাগরিক অধিকার বিরোধী।

রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত ছাত্রলীগের এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বুয়েট ক্যাম্পাসকে মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া থেকে মুক্ত করে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ছাত্রলীগ আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে। বুয়েট যে নিয়ম চালু করেছে, তা কালাকানুন। অনতিবিলম্বে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে।’

বুয়েটে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের ইমতিয়াজ রাব্বীর হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ প্রসঙ্গে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ইমতিয়াজ রাব্বির সিট ফিরিয়ে তাকে হলে বরণ করে নিতে হবে। ইমতিয়াজের অপরাধ সে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ইফতার বিতরণ করেছে। স্বাধীনতা দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে। নাগরিক হিসেবে রাজনীতি করার অধিকার সবার রয়েছে, কার অনুমতি নিতে হবে?’

সাদ্দাম বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতির নেতিবাচক দিক রয়েছে। এখানে র‌্যাগিং, ভাই ও গেস্টরুম কালচার রয়েছে। এটি পরিবর্তনের উপায় আরও ভালো রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা; রাজনীতি বন্ধ করা নয়। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির কাঠামো কেমন হবে তা শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে; তবে সেখানে রাজনীতি থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আবরার তাদের ভাই নয়, তাদের কাছে আবরার কেবল রাজনৈতিক পুঁজি। যার পেছনে তারা অন্ধকার রাজনীতি করছে। বুয়েট কী পাকিস্তান যে, সেখানে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে।’

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেছেন, ‘বুয়েটের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন পোস্টার লাগায়, চিকা মারে। বুয়েট প্রশাসন তাদের উৎসাহিত করে। কয়েকদিন আগের ঘটনায় প্রশাসন কোন তদন্ত ছাড়া, নোটিশ ছাড়া, নিয়মবহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করে। কেন আপনারা সিট বাতিল করেছেন? কেউ আপনাদের চাপ দিয়েছে? আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার-হাজার নেতাকর্মী যদি চাপ দেয়, পালানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না। মনে রাখতে হবে বাঘে ধরলে আঠারো ঘা, ছাত্রলীগ ধরলে ছত্রিশ ঘা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘যে কোনো শিক্ষার্থীরই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চিতে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দেওয়া লিগ্যাল। এটাতে কেউ বাধা দিলে আমরা জীবন বিলিয়ে দেব, বাধা দেওয়া সেই হাতকে গুঁড়িয়ে দেব।’

তিনি বলেন, ‘আজ আবরারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি দল রাজনীতি করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে তারা তাদের আবেগকে পুঁজি করে রাজনীতি করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী কাজে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে যাচ্ছে।’

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি রাজীবুল ইসলাম বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদসহ অনেকে।

সারাবাংলা/আরআইআর/একে

ছাত্ররাজনীতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর