Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লিবিয়ায় যুবককে নির্যাতনের ভিডিও দেশে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩১ মার্চ ২০২৪ ১৭:১৪

জয়পুরহাট: দুই মাস আগে দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় যাওয়া রুবেল হোসেন নামে এক যুবককে সেখানকার একটি শহরের অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার হাত-পা একসঙ্গে বেঁধে ও মুখ কাপড় গুঁজে দিয়ে লাঠি দিয়ে বেদম পেটাচ্ছেন একব্যক্তি। এমন নির্মম নির্যাতনের ভিডিও বাংলাদেশে রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুনের মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়। ৪ দিন আগে ওই ভিডিও পাঠিয়ে রুবেলের মুক্তিপণের জন্য আক্তারুনের কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।

লিবিয়ায় মুক্তিপণ আদায়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার রুবেল হোসেনের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার আমেশ্বপুর নিশিপাড়া গ্রামে। রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুনের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তেমারিয়া গ্রামে। রুবেলকে লিবিয়ায় পাঠানো দালাল মিজানুর রহমানের বাড়িও তেমারিয়া গ্রামে।

গ্রামবাসী ও প্রতিবেশীরা জানান, আক্তারুন তার ভগ্নিপতি রুবেলকে গ্রামের দালাল মিজানুর ও তার বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছিলেন। এরপর রুবেল হোসেন নিজেই দালাল মিজানুরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রুবেল তার জমি-জমা বিক্রি করে চার লাখ টাকা দালাল মিজানুর রহমানের স্বজনদের হাতে দিয়েছিলেন। গত জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রুবেল লিবিয়ায় পাড়ি জমান। এরপর দশ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে রুবেল হোসেনকে নির্যাতন করার ভিডিও আক্তারুনের ফোনে পাঠানো হয়।

লিবিয়ায় নির্যাতনের শিকার রুবেলের স্ত্রীর বড় বোন আক্তারুন বলেন, ‘আমি আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেল হোসনকে দালাল মিজানুর ও তার বাবা আব্দুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়ছিলাম। গত জানুয়ারি মাসে দালাল মিজানুর আমার ছোট বোনের স্বামী রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে গেছেন। দালাল মিজানুর রুবেলকে লিবিয়ায় নিয়ে বসিয়ে রেখেছিলেন। রুবেলকে ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে দশ দিন আগে লিবিয়ার আরেকটি জায়গায় নিয়ে যায়। তারা সেখানে রুবেলকে আটকে রেখে মারধর করছেন। এঘটনার পর লিবিয়ায় থাকা দালাল মিজানুরের কাছে ফোন করে তাকে পাইনি। ঘটনার পর থেকে মিজানুরের সঙ্গ যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’

তেমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য ফজিলাতুন নেছা বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে মিজানুরের খোঁজে লোকজন বাড়িতে আসছেন। এই ভয়ে মিজানুরের পরিবারের সদস্যরা কেউ বাড়িতে থাকছে না।’

সারাবাংলা/এমও

টপ নিউজ মুক্তিপণ মুক্তিপণ দাবি যুবককে নির্যাতন লিবিয়া লিবিয়ায় যুবককে নির্যাতন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর