হাসপাতালে ডোপ টেস্টে প্রস্রাবের পরিবর্তে পানি দেওয়ার অভিযোগ!
৩১ মার্চ ২০২৪ ২৩:১৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ডোপ টেস্টে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগ তুলেছেন খোদ একজন বিচারক। পরীক্ষায় প্রস্রাবের পরিবর্তে পানি দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সিনিয়র এ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
এজলাস ছেড়ে আসামিদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর এ তথ্য জানতে পারেন বলে দাবি করেছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীর। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, প্রস্রাবের পরিবর্তে পানি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীর নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, হাসপাতালে ডোপ টেস্টে প্রস্রাবের পরিবর্তে পানি দেয়ার বিষয়টি। এরপরও নেট পাড়ায় শুরু হয় সমালোচনা। স্ট্যাটাসে হুমায়ুন কবীর লেখেন, ‘২৫ মার্চ ১৫টি মাদক মামলার রায়ের দিন ছিল। আসামিদের অপরাধ বিবেচনা করে প্রবেশন দেওয়া যায় কি-না, সেজন্য তাদের ডোপ টেস্টের জন্য পাঠানো হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে। কিন্তু টেস্টের রিপোর্ট দেখে রীতি মতো হতবাক। একটিমাত্র মামলায় ফলাফল পজিটিভ আসে। বাকিগুলো নেগেটিভ।’
বিষয়টি নিয়ে খটকা লাগলে বিচারক নিজে আসামিদের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখানেই জানতে পারেন, আসামিরা ডোপ টেস্টের সময় প্রস্রাবের পরিবর্তে পানি দিয়েছেন। সেজন্য ফলাফল এসেছে নেগেটিভ। এ ছাড়া, পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ফি ৯০০ টাকা হলেও অতিরিক্ত আরও ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান হুমায়ুন কবীর।
তবে বিচারকের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ জানান, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনেই হাসপাতলে পরীক্ষার জন্য প্রস্রাব সংগ্রহ করা হয়। এতে প্রস্রাবের পরিবর্তে পানি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বিচারকের মন্তব্যে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে বলেও মনে করেন ডা. মাসুদ পারভেজ। যদিও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ যে মামলাগুলোর রায় দেওয়া হয় সেগুলো ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে। ওই সব মামলায় আসামিরা নিয়মিত হাজিরাও দিয়েছিলেন আদালতে। প্রস্রাব কেলেঙ্কারির পর মামলাগুলোতে ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আসামিদের।
সারাবাংলা/পিটিএম