Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আবাসিক হোটেল চালু করেছে রেলওয়ে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:২৭

ঢাকা: ট্রেনে যাতায়াত স্বস্তিদায়ক করার পাশাপাশি যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য আবাসিক হোটেল সুবিধা চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীরা রুম ভাড়া করে বিশ্রাম নিতে পারবেন, রাত কাটাতেন পারবেন। আর সেজন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এক থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।

হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যাত্রীদের স্টেশনে থাকার সুবিধা দিতে এই আবাসিক হোটেলটি আগে চালু ছিল, কিন্তু নানা জটিলতায় কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও চালু করা হলো।

বিজ্ঞাপন

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের তৃতীয় তলার হোটেলটিতে মোট ১৫টি রুম রয়েছে। এর মধ্যে, ৭টি এসি রুম এবং ৮টি নন-এসি। একদিনের জন্য দুই বেডের এসি রুমের ভাড়া দুই হাজার এবং সিঙ্গেল বেডের এসি রুমের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ টাকা। আর নন-এসি দুই বেডের রুমের ভাড়া এক হাজার টাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি রুমই সুসজ্জিত। সংযুক্ত ওয়াশরুম, আছে টেলিভিশন, ফ্রিজ ও ওয়াশিং মেশিন। এ ছাড়া, হোটেলটি পরিচালনার জন্য দুইজন ম্যানেজার, দুইজন হোটেল স্টাফ আছেন।

হোটেল ম্যানেজার শাহিন রেজা সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের এখানে ২৪ ঘণ্টার জন্য যারা থাকেন তাদের যে সেবা দেওয়া হয়, দুই ঘণ্টার জন্যও যিনি আসেন তাকেও একই সেবা দেওয়া হয়। প্রত্যেকের জন্য নতুন বিছানা চাদর, কাথা, সাবান, শ্যাম্পু দেওয়া হয়। এছাড়া এই হোটেলে বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি দেওয়া হয় এবং কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা আছে। খাবার যাত্রীদের নিজেদের খরচ করে খেতে হবে। তবে রুমে খাবার সার্ভিস দেওয়া হয় হোটেলের পক্ষ থেকে।

তিনি আরও বলেন, চালু হওয়ার পর থেকেই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রত্যেক দিনই ৭-৮ জন যাত্রী আসেন থাকার জন্য। এখানে সিসি ক্যামেরা দেওয়া আছে দুই দিক দিয়ে। সব কিছু মিলিয়ে এখানে নিরাপত্তা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

যাত্রীদের হোটেল রুম ভাড়া নিতে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। এবং প্রত্যেকদিন রাত পৌনে ১২টায় কোনো কোনো যাত্রী হোটেলে অবস্থান করছেন তা নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয় বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাস থেকে আবাসিক হোটেলটি পরিচালনা করছে রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সেল।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিকুঞ্জ নামে একটি প্রতিষ্ঠান হোটেলটি আগে পরিচালনা করতো। পরে ভাড়া বকেয়া থাকায় রেল কর্তৃপক্ষ তাদের থেকে দায়িত্ব নিয়ে নেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

হোটেলের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, আগে হোটেল ভাড়া প্রতি বছরে একবার পরিশোধ করতে হতো। এখন প্রতি মাসের ভাড়া প্রতি মাসে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হয়। সেবার মান আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেসকল যাত্রীরা রাতে স্টেশন এসে পৌঁছান এবং অন্য কোথাও যেতে পারেন না বা একদিনের জন্য কাজে আসেন, তারা এই হোটেলে নিরাপদে থাকতে পারবেন।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

আবাসিক হোটেল রেলওয়ে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর