Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতীয় তাঁতী সমিতির অ্যাডহক ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:২৫

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী সমিতি পরিচালনার জন্য গঠিত অ্যাডহক ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। গত ২৭ মার্চ এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই অ্যাডহক কমিটি বাতিল করা হয়।

সোমবার (১ এপ্রিল) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় তাঁতী সমিতি পরিচালনার জন্য ১২ সদস্যের এই অ্যাডহক ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরে ২০২৩ সালে আরও দুই বছর এই কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। বিধি-বর্হিভূতভাবে কমিটির নিয়োগ, কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে অ্যাডহক কমিটি বাতিল করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাঁতী সমিতি বিধিমালা-১৯৯১ এ তাঁতী সমিতির গঠন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়গুলি বর্ণনা করা আছে। বিধিমালা এর ২য় পরিচ্ছেদের ০৪ এর বিধান অনুসারে জাতীয় পর্যায়ে একটি মাত্র তাঁতী সমিতি থাকিবে। মাধ্যমিক তাঁতী সমিতিসমূহের সমন্বয়ে জাতীয় তাঁতী সমিতি গঠিত হবে। জাতীয় তাঁতী সমিতির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় হবে। অর্থাৎ উপবিধি অনুযায়ী মাধ্যমিক তাঁতী সমিতির একজন করে প্রতিনিধি জাতীয় তাঁতী সমিতির সদস্য হবে।

জাতীয় তাঁতী সমিতি বিধিমালা-১৯৯১ এর ৫ম পরিচ্ছেদ এর ২২(ঘ) এর বিধান মতে যথাসময়ে নির্বাচন না হলে তথা নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত না হলে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অ্যাডহক কমিটি নিযুক্ত করতে পারেন। সে অনুযায়ী ২০ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান দুই বছরের জন্য একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছিলেন।

কিন্তু দুই বছরের মধ্যে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। উপরন্তু ৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে অর্থাৎ ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এতে সাধারণ তাঁতী ও তৃণমূল তাঁতী নেতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। একে অনিয়ম হিসেবে অবহিত করে তারা প্রধানমন্ত্রী এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন। তারা এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ও আন্দোলন শুরু করেন।

এ বছর জানুয়ারি মাসে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর জনাব জাহাঙ্গীর কবির নানকের কাছে সংক্ষুব্ধ তাঁতীরা ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড ২৭ মার্চ ২০২৪ তারিখে ইস্যুকৃত অফিস স্মারক নং-২৪.০৫.০০০০.৫২১.০৬.১৫(অংশ-৩).২১-১০৩ এর মাধ্যমে বিদ্যমান বাংলাদেশ তাঁতী সমিতির অ্যাডহক ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল করে।

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর