ঢাকা: জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের পর বাস ভাড়া কিলোমিটারে তিন পয়সা কমানোর সিদ্ধান্তকে ‘জাতির সঙ্গে তামাশা’ বলেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বলছে, জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সুফল কেবলমাত্র বাস ও অন্যান্য পরিবহনের মালিকেরা ভোগ করলেও দেশের জনগণ বঞ্চিত হবে।
সোমবার (১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করে যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে উল্লেখযোগ্য হারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দেশের সাধারণ নাগরিকদের সামথ্য বিবেচনায় গণপরিবহন ভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার দাবি জানান সংগঠনটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী অধিকাংশ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এমন সময়ে দুই দফা জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পর সরকার আজ বাসের ভাড়া প্রতিকিলোমিটারে মাত্র তিন পয়সা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। যা কোনভাবেই কার্যকরযোগ্য নয়। ইতোপূর্বে সরকার ২০১১ সালে বাসের ভাড়া দুই পয়সা কমিয়েছিল যার সুফল পায়নি সাধারণ যাত্রীরা।
এরপর ২০১৬ সালে জ্বালানি তেলে মুল্য কমানোর কারণে বাসের ভাড়া তিন পয়সা কমানোর সুফল থেকেও দেশের যাত্রীসাধারণ বঞ্চিত হয়েছে। ঠিক একইভাবে বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এবারো বাস ভাড়া তিন পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার সুফল যাত্রীরা পাবে না বলে মনে করছে সংগঠনটি।