ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের আহ্বান
৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:৩০
ঢাকা: ঈদযাত্রায় জল-স্থল ও আকাশপথে দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি এই অভিযোগ করে।
এতে বলা হয়, আভ্যন্তরীণ রুটে আকাশ পথে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে বিমানের টিকিটি বিক্রি করা হচ্ছে। সড়ক পথে বিভিন্ন দূরপাল্লার রুটে ৫ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেড়গুণ বাড়তি, ৮, ৯ ও ১০ এপ্রিল কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ বাড়তি দামে বাসের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। নৌ-পথে বিভিন্ন রুটে কেবিনের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ও তিনগুণ বাড়তি ভাড়ায় টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ এভাবে প্রকাশ্যে ভাড়া নৈরাজ্য ঘটলেও সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর এখনও কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের লোকজন, গার্মেন্টস কর্মী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা ঈদের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়ছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে সংশিষ্ট বাস কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন পুলিশের আইজিপি। বিআরটিএ, বিআইডাব্লিউটিএ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এমন ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে কেউ এগিয়ে আসছে না।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ বলছে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে ঈদযাত্রায় নিন্মআয়ের লোকজনের বাসের ছাদে, ট্রেনের ছাদে, পণ্যবাহী পরিবহনে, ফিটনেসবিহীন সিটি বাসে, খোলা ট্রাকে, মোটরসাইকেলে, ট্রাকের পণ্যের উপরে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত কোনভাবেই বন্ধ করা যাবে না।
এতে আরও বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে সরকার যখন বাস ভাড়া কমানোর চেষ্টা করছে, এমন সময়ে কমানো ভাড়া কার্যকর করার পরিবর্তে পবিত্র ঈদুল ফিতরের যাতায়াতে দেশের বিভিন্ন রুটে বাস, লঞ্চ, উড়োজাহাজসহ বিভিন্ন শ্রেণির গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে।
সরকার প্রতিবছর ঈদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যকারী গণপরিবহনগুলোকে কাগুজে বাঘের মত হুঁশিয়ারি দিলেও কার্যকর অর্থে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। ফলে এবারের ঈদের অনলাইন টিকিটে বিভিন্ন রুটে বিভিন্ন শ্রেণির পরিবহন কোম্পানিগুলো প্রকাশ্য অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলেও তাদের বিরুদ্ধে অতীতের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না, বলেও জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সারাবাংলা/আরএফ/এমও