আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্তার জামিন
৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৫০
ঢাকা: রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যাসহ পৃথক চার মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মাহবুব আহমেদ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার ও আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম। অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে আসামিদের আইনজীবী আব্দুর রহমান হাওলাদার সারাবাংলাকে বলেন, আসামিরা বিদেশে থেকে নির্বিঘ্নে দেশে ফেরার জন্য রিট আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে তাদের নির্বিঘ্নে দেশে ফেরার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় আসামিরা আজ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত আজ ট্রান্সকম গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন।
এই মামলায় অন্য আসামিরা এর আগে জামিন পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, এই চারটি মামলা দায়েরের সময় আসামিরা বিদেশে ছিলেন। বিদেশ থেকে নির্বিঘ্নে দেশে ফেরার জন্য তারা উচ্চ আদালতে পৃথক রিট আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তাদের কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই দেশে ফেরা এবং দেশে ফেরার পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সেই ধারাবাহিকতায় ট্রান্সকম গ্রুপের শীর্ষ তিন কর্তা দেশে ফিরেই আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পাশাপাশি তারা জামিন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত চারটি মামলায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে, ট্রান্সকম গ্রুপের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিনটি মামলা করেন ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমানের ছোট বোন শাযরেহ হক। ওই মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিন পান।
এরপর গুলশান থানায় গত ২২ মার্চ একটি হত্যা মামলা করেন শাযরেহ হক। এতে ১১ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ৯ মাস আগে মারা যাওয়া তাদের ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ