ঈদের আগে এমন পাটুরিয়া ঘাট কেউ দেখেনি আগে
৮ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৫
মানিকগঞ্জ: ঈদের বাকি আর মাত্র দুই-একদিন। এখনও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট কার্যত নীরব। যানবাহন ও যাত্রী সংকটে ঘাটে অলস সময় পার করছে ফেরি ও লঞ্চ। এমন যাত্রী সংকট ঈদের দুই এক দিন আগে কখনও দেখা যায়নি।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় দেখা গেছে, ঘাটজুড়ে বিরাজ করছে নীরবতা। যাত্রীবাহী বাসের দেখা মিলছে না খুব একটা। ট্রাক টার্মিনাল পুরোটাই ফাঁকা। লঞ্চঘাটেও যাত্রী সংকট তীব্র। তিনটি ফেরিঘাটের সবগুলোই ফাঁকা। দুই-চারটি করে যাত্রীবাহী বাস ঘাটে আসলেও কোনো ধরনের ‘চিরচেনা বিড়ম্বনায়’ পড়তে হচ্ছে না। পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৭টি ফেরি।
ফরিদপুরের মধুখালী এলাকার মেহেদী হাসান সিলেট থেকে যাচ্ছেন বাড়িতে। ঈদের আগে পাটুরিয়া ঘাটের এমন নীরব দৃশ্য দেখে তিনি হতবাক। বলেন, বিগত কোনো ঈদের সময় পাটুরিয়া ঘাটের এরকম দৃশ্য দেখিনি। আগে যখন ঈদের সময় বাড়ি যেতাম পাটুরিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হতো। যানজটে নাকাল থাকতো পুরো ঘাট এলাকা। অসহনীয় ভোগান্তি মাথায় নিয়েই বাড়ি ফিরতে হতো। তবে আজকের চিত্র সম্পন্ন ভিন্ন। কোনো যানজট নেই। গাড়ির চাপ নেই। তাই খুব স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছি।
ঘাট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ রুটের গুরুত্ব কমে গেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার যানবাহন ফেরি পারাপার হতো এখন সেখানে আড়াই থেকে তিন হাজার যানবাহন পারাপার হয়। যানবাহন পারাপার কম হওয়ায় ঘাট এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছুতেই ধস নেমেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বিআইডব্লিউটিসির আরেক অঞ্চলের ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদে ঘরমুখী যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘাটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকলেও যানবাহনের আগমন খুবই কম। সোমবার দুপুর পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন কম আসা-যাওয়ার কারণে ফেরিগুলো ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
এদিকে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌ রুটে লঞ্চ যাত্রীর সংখ্যাও সোমবার সকাল থেকে অনেক কম। ঘাটে কোনো যাত্রী চাপ নেই।
পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার পান্নালাল নন্দু জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে মোট ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদের দু-একদিন বাকি থাকলেও পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রীর কোনো ধরনের চাপ নেই। লঞ্চের আসন অনুযায়ী যাত্রী না থাকায় অর্ধেক যাত্রী দিয়েই লঞ্চ ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/আইই