মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় সোহরাব খান (৬০) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ছেলে জনি খান (৩২)। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দীঘিরপাড় বাজার এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে গেলে দিঘিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শাহে আলম আহত হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. আসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত সোহরাব খানের সঙ্গে ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ভুলু খান ওরফে ভোলা মেম্বারের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সেই ঘটনার জের ধরে ভুলু খান ও তার দুই ছেলে রিজভী ও রিহানসহ ৭-৮ জন সোহরাব ও জনির উপর হামলা চালায়। এ সময় রিজভী ও রিহান ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহরাব ও জনিকে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে তাদের উদ্ধার করে টংগিবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোহরাব খানকে মৃত ঘোষণা করেন। জনির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এদিকে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনতে গেলে দিঘিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শাহে আলম আহত হন। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।