ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতের কাছ থেকে ৯১ বিঘা জমি উদ্ধার
৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৩২
ঠাকুরগাঁও: দীর্ঘ ৭০ বছর পর ভারতের দখলে থাকা সীমান্তে নদীর ওপারে থাকা ৯১ বিঘা বাংলাদেশি জমি উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অপরদিকে ভারত পেয়েছে ২৩ দশমিক ৫ বিঘা।
বিজিবির দাবির মুখে যৌথ জরিপ পরিচালনা করে এই জমি হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি জানায়, জগদল এবং বেউরঝাড়ি বিওপি সীমান্তে নাগর নদীর ওপারে ৯১ বিঘা সিকস্তি জমি ভারতের দখলে ছিল। ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন স্ট্রিপ ম্যাপ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পক্ষে দাবি করে আসছিল বিজিবি। পরে ৫০ বিজিবি বাংলাদেশ সার্ভে বিভাগ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপর বিজিবির আহ্বানে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকে বিজিবির পক্ষ হতে বলা হয়, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সার্ভেয়ারের মাধ্যমে যৌথ জরিপের প্রয়োজন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৬ ও ৭ মার্চ বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সহকারী জরিপ ও চার্জ অফিসার এবং ভারতীয় সার্ভে বিভাগের সহকারী চার্জ অফিসারের সমন্বয়ে বিজিবি-বিএসএফ’র উপস্থিতিতে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়নের আওতায় জগদল এবং বেউরঝাড়ি বিওপি সীমানা নির্ধারণের লক্ষ্যে যৌথ জরিপ ও এলাকা পরিদর্শন করা হয়।
সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৬ মার্চ জগদল বিওপির আওতায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ১৫ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায়। অপরদিকে প্রায় ৭ দশমিক ৫ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়। এরপর গত ৭ মার্চ বেউরঝাড়ি বিওপির আওতায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ৭৬ বিঘা ভারতের দখলে থাকা জমি বাংলাদেশের অনুকূলে পাওয়া যায়। অপরদিকে প্রায় ১৬ বিঘা বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি ভারত পায়।
এই জরিপে বাংলাদেশের প্রাপ্ত মোট জমির পরিমাণ ৯১ বিঘা এবং ভারতের প্রাপ্ত জমির পরিমান ২৩ দশমিক ৫ বিঘা। বাংলাদেশের উদ্ধার করা ৯১ বিঘা জমির মধ্যে ৭৭ বিঘা আবাদি জমি, ১১ বিঘা চা বাগান এবং ৩ বিঘা নদীর চর।
ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজীর আহম্মদ বলেন, ‘ম্যাপ দেখে বুঝতে পারি বাংলাদেশের জগদল ও বেউরঝাড়ি সীমান্তের ওপারে বেশ কিছু জমি আমাদের রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলি এবং জরিপের আহ্বান জানাই। পরে ভারত সারা দিলে বিজিবি এবং বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে জমির মালিকা চূড়ান্ত করা হয়।’
সারাবাংলা/এনএস