দরজায় কড়া নেড়ে ঈদ উপহার দিলেন মন্ত্রী
১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩০
ঢাকা: গভীর রাতে ঘুরে ঘুরে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা এবং অসহায় ছিন্নমূল মানুষের হাতে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ফরিদপুরের মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এসব ঈদ উপহার সামগ্রী প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। রাত ১১ টার দিকে নিজ বাড়ি কামালদিয়া থেকে রওনা দেন মন্ত্রী। মধুখালী ও বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন সড়কে থাকা ছিন্নমূল মানুষের হাতে তুলে দেন শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি ও দুধ। এরপর উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ডেকে তুলে তাদের হাতে তুলে দেন ঈদ সামগ্রী। এভাবে চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত।
গভীর রাতে এভাবে মন্ত্রীর হাত থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে খুশি অসহায় মানুষরা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রাশেদা বেগম বলেন, ‘নিজের চোখের সামনে মন্ত্রীকে প্রথম দেখলাম। তার হাত থেকে উপহার পেয়েছি। আমরা পরিবারের সবাই খুশি। ঈদের মাত্র একদিন বাকি, এই সময়ে মন্ত্রী এসে আমাদের শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই, চিনি দিলেন। আমরা ওনার কাছে কৃতজ্ঞ।’
সড়কের পাশের খুপরি ঘরে থাকেন সাহেব আলী। তাকেও ডেকে তুললেন মন্ত্রী। সাহেব আলী মন্ত্রীকে দেখে অবাক। তার কাছে স্বপ্নের মতো লাগছে বলে জানালেন সাহেব আলী। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীকে ভোট দিয়েছিলাম না দেখে। এবার তাকে প্রথমবার সামনে দেখতে পেলাম। খুবই ভালো লাগছে, তার হাত থেকে ঈদের উপহারও পেলাম। আজকের দিনটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
চলতি পথে দেখা আসমা বেগমের সঙ্গে। গাড়ি থামালেন মন্ত্রী এরপর তাকে ডেকে তার হাতে তুলে দিলেন শাড়ি। এ সময় আসমা বেগম আপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি বলেন, ‘শুধু টিভিতে আর পোস্টারে তাকে দেখেছি। সামনে আজকে প্রথমবারের মতো দেখলাম। আমার কাছে আজই ঈদ মনে হচ্ছে।’
শুধুমাত্র আসমা বেগম, সাহেব আলী, রাশেদা বেগমই নয় রাতে ঘুরে ঘুরে দুই শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। গত চার দিন যাবৎ নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুর-১ (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) আসনের অসহায় মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও নিজস্ব তহবিল থেকে ১০ হাজার অসহায় মানুষের শাড়ি, লুঙ্গিসহ বিভিন্ন সামগ্রী হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।
আব্দুর রহমান বলেন, ‘অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই রাতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে তাদের হাতে উপহার তুলে দিয়েছি। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত এই মানুষগুলোর পাশে থেকে তাদের মুখের হাসি ধরে রাখতে চাই। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া ঘরের বাসিন্দাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পেরেছি, এ জায়গায় নিজের কাছে আরও ভালো লাগছে।’
সারাবাংলা/এনআর/এনএস