চাঁদ রাত পেরিয়ে ঈদ উৎসব
১০ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:২৭
ঢাকা: রমজান মাস শেষ। শুরু হচ্ছে হিজরি বর্ষপঞ্জির শাওয়াল মাস। সেই সঙ্গে এক মাসের সিয়াম সাধনার পর এসেছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। এরই মধ্যে এই ঈদ উদ্যাপনের সব প্রস্তুতি শেষ। চাঁদ রাত শেষ করে এখন কেবল ঈদ আনন্দে মেতে ওঠার অপেক্ষা।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ছিল ২৯ রমজান। সেদিন সন্ধ্যায় দেশের আকাশে কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে বুধবার (১০ এপ্রিল) ৩০ দিনে রমজান মাস পূর্ণ হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে পালন হচ্ছে ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন।
এরই মধ্যে লাখ লাখ মানুষ কর্মস্থল থেকে পৌঁছে গেছে গ্রামের বাড়ি, স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে ঈদ উদ্যাপন করার জন্য। রোজার শুরু থেকে ধীরগতিতে শুরু হওয়া ঈদের বেচাকেনাও শেষ হয়ে এসেছে। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছেন ঈদের আনন্দে মেতে ওঠার জন্য।
ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
ধর্মীয় দিক থেকে ঈদুল ফিতর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রমজান মাসজুড়ে প্রাপ্তবয়স্ক ও সক্ষম সব মুসলিমকে রোজা রাখতে হয়। ফজর ওয়াক্তের আগে সেহেরি খাওয়া শেষ করে সারা দিন না খেয়ে মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতারের মাধ্যমে পালন করতে হয় একেকটি রোজা। সেই একমাসের সিয়াম সাধনায় নৈতিক, আত্মিক ও সামাজিক পরিশুদ্ধির সীমানা পেরিয়ে ঈদুল ফিতর আসে সামষ্টিক কল্যাণ হয়ে। হাদিসে বলা হয়েছে, রমজানের একমাস যারা রোজা পালন করবে, ঈদুল ফিতর তাদের জন্য আনন্দস্বরূপ।
ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। যারা ঈদের নামাজ আদায় করে না তারা গুনাহগার হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে হাদিসে। ঈদুল ফিতরের নামাজের ফজিলতও রয়েছে অনেক। যারা ঈদের দিন ঈদগাহে গিয়ে যথানিয়মে ঈদের নামাজ আদায় করে, আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল এবং অফুরন্ত পুরস্কার দান করেন। এ ছাড়া ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ও সুন্নত।
ফিতরা আদায়
ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অনুষঙ্গ হলো ফিতরা। সমাজের সব স্তরের মানুষ যেন ঈদ উৎসবে অংশ নিতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে আর্থিকভাবে অসচ্ছলদের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি হারে এই ফিতরা বিতরণ করতে হয়। হানাফি মাজহাব অনুযায়ী, সমর্থ মুসলমানের প্রত্যেকের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব; শাফেয়ি মাজহাব অনুযায়ী ফরজ।
ফিতরা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণত পাঁচটি খাদ্যপণ্য বিবেচনায় নেওয়া হয়— আটা, যব, কিসমিস, খেজুর ও পনির। এক কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা এবং বাকি পণ্যগুলোর জন্য তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা সমপরিমাণ অর্থ একটি ফিতরার পরিমাণ বলে গণ্য করা হয়। এসব পণ্যের বাজারমূল্যের ওপর ভিত্তি করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিবছর ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করে থাকে। এ বছর গম বা আটা দ্বারা ফিতরা দিলে ১১৫ টাকা, যবের ক্ষেত্রে ৩৯৬ টাকা, কিসমিসের ক্ষেত্রে ১৬৫০ টাকা, খেজুরের ক্ষেত্রে ১৯৮০ টাকা এবং পনির দিয়ে ফিতরা আদায় করলে একেকটি ফিতরার পরিমাণ হবে ২৬৪০ টাকা।
ঈদের দিনের আগেই ‘সাদাকাতুল ফিতর’ বা ফিতরা আদায় না করলে ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগেই তা আদায় করতে হয়। বুখারি শরিফে বলা আছে, ‘হজরত আবদুল্লাহ ইব্ন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত— রাসুলুল্লাহ (সা.) লোকদের নামাজে যাওয়ার আগেই সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত সাড়ে ৮টায়
এবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।
ঈদের প্রধান জামাতে ইমাম হিসেবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং মোকাব্বির হিসেবে একই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে এ জামাত আয়োজন সম্ভব না হলে ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল ৯টায়, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে।
এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের পাঁচটি জামাত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই মসজিদে প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এরপর পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টা ও সকাল পৌনে ১১টায় বাকি জামাতগুলো হবে।
এ ছাড়া জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজন করা হয়েছে সকাল সাড়ে ৮টায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় ঈদুল ফিতরের জামাত রাখা হয়েছে দুটি— প্রথমটি সকাল ৮টা ও দ্বিতীয়টি সকাল ৯টায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ১৮২৮ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতের হিসাবে এটি হবে ঈদুল ফিতরের ১৯৭তম জামাত। জামাত নির্বিঘ্ন করতে চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার এই ঈদ জামাত পরিচালনা করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন বড় বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে তারা দেশ ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এখানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি, কূপমণ্ডুকতার কোনো স্থান নেই। মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য ও পারস্পরিক সহাবস্থান এবং পরমতসহিষ্ণুতাসহ বিশ্বজনীন কল্যাণকে ইসলাম ধারণ করে। ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইসলামের মর্মার্থ ও শাশ্বত বাণী সবখানে ছড়িয়ে পড়বে এবং বিশ্ব ভরে উঠবে শান্তি আর সৌহার্দ্যে— বাণীতে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মেলবন্ধন পরিব্যাপ্তি লাভ করুক— এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা। হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক। বিশ্বের সব মানুষের সুখ-শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য আজকের দিনে আমি মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি। আসুন, সব ধরনের অন্যায়-অনাচার ও হানাহানি-কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সব স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।
ঈদ মানেই বাড়ি ফেরা
দেশে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় দুই উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার প্রধানতম অনুষঙ্গ বাড়ি ফেরা। যার কর্মস্থল যেখানেই হোক না কেন, ঈদ এলে সবাই ছুটে যান বাড়ির পথে। পথে ভোগান্তির সব শঙ্কা অগ্রাহ্য করেই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসবে মেতে উঠতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন সবাই। বিশেষ করে রমজানের শেষ কয়েকটি দিনে রাজধানী ঢাকা থেকে কোটিরও বেশি নাগরিক পৌঁছে যান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সড়ক, নৌ ও রেল পথ টানা কয়েকদিন ধরেই থাকে ব্যস্ততায় পূর্ণ।
ঈদযাত্রার শেষের দিকে সড়কপথে প্রায়ই দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনকে। তবে এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন দেখা গেছে। সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও রংপুর এলাকায় প্রশস্ত সড়ক নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ায় খুব বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়নি যাত্রীদের। তবে গাবতলী থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত কিছু সময় দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও কুমিল্লার দাউদকান্দি অংশ বাদ দিয়ে বাকি পথে ঈদযাত্রা ছিল অনেকটাই স্বস্তির।
তবে এবারও স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী বাসগুলোকে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে মহাসড়কগুলোতে। ফিটনেসবিহীন বাস রঙ করে সেগুলোও ঈদযাত্রায় যুক্ত হয়েছে। ট্রাক ও পিকআপে করে ঝুঁকি নিয়ে অনেকে রওনা দিয়েছেন বাড়ির পথে। গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও মোটরসাইকেলে করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে দেখা গেছে মানুষকে। সেই সঙ্গে ট্রেনেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে অনেকে পাড়ি দিয়েছেন পথ। লঞ্চগুলোও নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহণ করেছে এই সময়ে।
ঈদে বিশেষ আয়োজন, খোলা বিনোদনকেন্দ্র
ঈদুল ফিতর উদ্যাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, সেফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, দুঃস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশন যথাযথভাবে ঈদ উদ্যাপন করবে। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার থেকে তিন দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সব স্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’খচিত ব্যানার মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোস্টে প্রদর্শন করা হচ্ছে। চাঁদ রাতে সরকারি ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঈদে বিনোদনকেন্দ্রগুলোও খোলা থাকছে। চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ বিভিন্ন ধরনের পার্ক ও অন্যান্য স্থাপনাও নতুন করে সাজানো হয়েছে ঈদের জন্য। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রস্তুত পর্যটনকেন্দ্রগুলো
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল প্রত্যাশা করছেন দেশের পর্যটন খাতের সংশ্লিষ্টরা। কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট, মৌলভীবাজারের মতো পর্যটনপ্রধান এলাকাগুলোও বাড়তি পর্যটক বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কক্সবাজার ও রাঙ্গামাটির পর্যটনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরই মধ্যে এসব এলাকার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের সিংহভাগ কক্ষই বুকিং হয়ে গেছে।
তবে এ বছর বান্দরবানে পর্যটন খাতে রয়েছে ভিন্ন চিত্র। রমজানের শেষের দিকে রুমা ও থানচিতে একাধিক ব্যাংকে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলার ঘটনায় গোটা বান্দরবান জেলাই রয়েছে থমথমে অবস্থায়। ফলে এই জেলায় এবার পর্যটন খাতে ধ্বংসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঈদ উৎসব ঘিরে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে। দেশের মানুষ যেন নির্বিঘ্নে ঈদ উৎসব পালন করতে পারে, সেটি মাথায় রেখে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও র্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা বলছেন, এবারের ঈদে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। সবাই নির্বিঘ্নে ঈদ পালন করতে পারবেন।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, তিনি বলেন, ঈদে গুজব নিয়ন্ত্রণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নজরদারিতে বিশেষ দল কাজ করছে। ঈদুল ফিতরের জামাত উপলক্ষে র্যাবের পক্ষ থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ অন্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এবারের ঈদুল ফিতরে কোনো জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও তৎপরতা সার্বক্ষণিক বজায় থাকবে।
সারাবাংলা/টিআর