Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আওয়ামী লীগ খেতে আসে না, দিতে আসে: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১১ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫৫

গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার বোন শেখ রেহানা এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন। ছবি: পিএমও

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা দেখেছি অনেকেই গর্ব করে বলে এক হাজারের ওপর ইফতার পার্টি করেছে। তারা ইফতার পার্টি হাজারের ওপর করে ইফতার খেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ মানুষকে দেয়, খেতে আসে না; দিতে আসে। আমরা দিয়েছি। আগামী দিনগুলি আরও সুন্দরভাবে যাক, সেটাই কামনা করি।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে গণভবনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাতে আজকে আপনারা গণভবনে যারা এসেছেন আমি আপনাদের সবাইকে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এই পবিত্র ঈদে সবার জীবনে অনাবিল সুখ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসুক মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আজকের এই দিনে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা-মা ভাই সব হারিয়েছি। তাদেরও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া কামনা করেন।

পাশাপাশি জাতীয় চার নেতা, লাখো শহীদসহ আওয়ামী লীগর জোটের যারা অগণিত নেতাকর্মী যারা জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন তাদের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়েছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে। আজকে আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। কিন্তু এখনও যেটুকু রয়েছে আমরা আগামীতে মানুষের অন্ন বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারব। সেটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। পবিত্র ঈদ সামনে রেখে সেটাই চাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী, সংসদ সদস্যসহ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা জনপ্রশাসন এবং অন্যান্য সংগঠন; প্রত্যেকই যখন বলেছি এবার আমরা ঈদ বা রোজার সময় ইফতার পার্টি করব না। ইফতার মানুষের মাঝে আমরা বিলি করব। মানুষকে আমরা ইফতার খেতে দেব, মানুষের পাশে দাঁড়াব। সেই নির্দেশ পাওয়ার পর প্রত্যেকেই যার যার স্থান থেকে মানুষের মাঝে ইফতার বন্টন করেছেন। মানুষকে ইফতার দিয়েছেন। আমাদের যারা সাধারণ মানুষ নিম্নবিত্ত মানুষ তাদের কাছে এই ইফতার পৌঁছে দিয়ে আপনারা পবিত্র কাজ করেছেন।

বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা দেখেছি অনেকেই গর্ব করে বলে এক হাজারের ওপর ইফতার পার্টি করেছে। তারা ইফতার পার্টি হাজারের ওপর করে ইফতার খেয়েছে। আর আওয়ামী লীগ মানুষকে দেয়, খেতে আসে না; দিতে আসে। আমরা দিয়েছি; এটাই হল আমাদের সবথেকে বড় কথা। আমাদের অগণিত নেতাকর্মী আমাদের বিভিন্ন সংগঠনগুলি প্রত্যেকেই যার যার স্থান থেকে দেশের মনুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইফতারে সহযোগিতা করেছে এবং ঈদের উপহার দিয়েছে। তাদের সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

দেশের সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশেই থাকে, আওয়ামী লীগ সেবা করে মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তাই যারা আমাদেরকে বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

সরকারপ্রধান বলেন, এই ঈদে সবার জীবনে অনাবিল সুখ শান্তি নেমে আসুক। আগামী দিনগুলি আরও সুন্দরভাবে যাক সেটাই কামনা করি।

ঈদ মুবারক জানিয়ে বক্তব্য শেষ করে পরে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে অংশ নেন। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার‌্যনির্বাহী সদস্য আমিরুল আলম মিলনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/এনইউ

আওয়ামী লীগ ঈদ শুভেচ্ছা ঈদুল ফিতর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর