ঈদ জামাতে দেশ-জাতি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রার্থনা
১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৭:৪৭
ঢাকা: এক মাস সিয়াম সাধনার পর সারাদেশে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে সারাদেশে বিভিন্ন ঈদগাহ ময়দানে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে দেশ-জাতি ও ফিলিস্তিনসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
দেশে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় রাজধানী ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে ৮টা ৫৪ মিনিটে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় নামাজ। ঈদের নামাজে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মুজলুম মুসলমানের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়।
এই জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বিচারপতিরা, কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এই ঈদের জামাতে অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাজধানী ঢাকায় দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায়। এই জামাতের ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক। সেখানে মোট ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৫টি ঈদ জামাতেই ছিল মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়। জামাতগুলো থেকে দেশ এবং মজলুম ফিলিস্তিনসহ মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়। দোয়ায় অংশ নেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে। এটি এশিয়া উপ-মহাদেশের সবচেয়ে ঈদগাহ মিনার ও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদমাহ মাঠ বলে দাবি আয়োজকদের। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ছয় লাখের বেশি মুসল্লির অংশগ্রহণে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই নামাজে ইমামতি করেন শামসুল হক কাসেমী। নামাজে ভারপ্রাপ্ত প্রদান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ অংশ নেন। ঈদের নামাজে পাশ্ববর্তী জেলা ও উপজেলাগুলো থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।
বিভাগীয় শহর রংপুরে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে মোনাজাত শেষে চিরাচরিত কোলাকুলি করে একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই জামাতে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্টজন এবং সর্বস্তরের মুসল্লিরা অংশ নেন। জেলার প্রধান এই ঈদ জামাতে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
মহানগর ছাড়াও জেলার পীরগাছা, কাউনিয়া, মিঠাপুকুর, তারাগঞ্জ, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া উপজেলার স্থানীয় মসজিদ ও ঈদগাহগুলোতে সকালে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। রংপুর বিভাগীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানিয়েছে, রংপুর জেলার প্রায় ৬ হাজার মসজিদে ঈদ জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের শতাধিকসহ জেলার প্রায় সাড়ে ১২ শতাধিক ঈদগাহ মাঠে ও পাড়ামহল্লার মসজিদ-মাদরাসাগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কোনো কোনো মসজিদে ছিল একাধিক ঈদ জামাতের ব্যবস্থা।
খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় সার্কিট হাউজ ময়দানে। এ জামাতে ইমামতি করেন খুলনা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল খায়ের মোহাম্মদ যাকারিয়া। ঈদের জামাতে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং হাজার হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লিরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
খুলনা আলিয়া মাদারাসার মডেল মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং সকাল ৯টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খালিশপুর, দৌলতপুর, খানজাহান আলী ও লবণচরাথানাসহ বিভিন্ন মসজিদ, ঈদগাহ ও মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বান্দরবানে সকাল ৭টায় ঈদর প্রথম ও প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। জামাত পরিচালনা করেন জেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদর খতিব মাওলানা আলাউদ্দিন ইমামী। হাজার হাজার মানুষ জামাতে অংশ নেন। পরে সকাল ৮টায় ঈদের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাত পরিচালনা করেন জেলা জজ কোর্ট জামে মসজিদের খতিব হাফজ ক্বারী মাওলানা মুজিবুল হক হাফি। এছাড়া সকালে বিভিন্ন সময়ে জেলার মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জাতি ও মুসল্লি বিশ্বের মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়।
নরসিংদীতে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলার মনোহরদীর গোতাশিয়া শুকুর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এ জামাতে অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাড. নরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। এর আগে, জেলা কালেক্টরেট জামে মসজিদ মাঠে জেলার প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে সঙ্গে কোলাকুলি করেন।
বরাবরের মতো চট্টগ্রামে প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে। সেখানে দু’দফা ঈদের নামাজে রাজনীতিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লাখো মানুষের সম্মিলন ঘটে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৮টায় জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের উন্মুক্ত ময়দানে প্রথম নামাজে ইমামতি করেন খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী। সকাল পৌনে ৯টায় দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন একই মসজিদের পেশ ইমাম আহমেদুল হক।
খতিবের মোনাজাতে শরিক হয়ে শুকরিয়া আদায় করেন ইমাম ও মুসল্লিরা। সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া কবুল ও ক্ষমা প্রার্থনা করে এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে প্রথম ঈদ জামাতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ শীর্ষ নেতারা নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তারা পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গন করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর বহদ্দারহাটে শাহী জামে মসজিদে সকাল ৮টায় নামাজ আদায় করেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে সকাল ৮টায় নগরীর লালদিঘীর পাড় জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একইসময়ে চসিকের তত্ত্বাবধানে শেখ ফরিদ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফিন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত নিজ নিজ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনের মাঠে ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় ঈদ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির আওতাভুক্ত নগরীর আরও ৯৩টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এবার নগরীতে মসজিদ ও ঈদগাহ মিলিয়ে ৭৭১টি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে চান্দগাঁও থানা এলাকায় ১১২টি, খুলশীতে ৫০টি, বায়েজিদ বোস্তামিতে ৫০টি ও পাঁচলাইশে ২০টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া কোতোয়ালীতে ৭৩টি, বাকলিয়ায় ৩৪টি, চকবাজারে ২৩টি ও সদরঘাটে ৪৪টি, ডবলমুরিংয়ে ১৩টি, হালিশহরে ৭৩টি, পাহাড়তলীতে ৩০টি, আকবর শাহ থানা এলাকায় ৫৪টি স্থানে ঈদ জামাত হয়। এছাড়া ইপিজেড থানা এলাকায় ২৬টি, বন্দরে ৩৯টি, পতেঙ্গায় ৬০টি এবং কর্ণফুলী থানা এলাকায় ৭০টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজশাহীতে ঈদের জামাত শেষে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। এছাড়াও দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা মোনাজাত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী বিভিন্ন ইদগাহে এই মোনাজাত হয়। নগরীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম ঈদগাহ ময়দানে। এখানে নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ময়মনসিংহে সকাল ৮টায় নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাতে অনুষ্ঠিত। জেলার প্রধান এই জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান শান্ত, সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীসহ ৫০ হাজারের বেশি মুসল্লি এই জামাতে অংশ নেন। পরে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও নগরীর বড় মসজিদ, মার্কাস মসজিদ, মোমেনশাহী সেনানিবাস, পুলিশ লাইন্স, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার প্রায় আড়াই হাজার মাঠ এবং মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহসহ জেলার ৮১টি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। যশোরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্রথম জামাত শুরু হয় সকাল ৮টায়। একই স্থানে সকাল ৯টায় আরও একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া এলাকাগতভাবেও ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এসব ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। ফিলিস্তিনের জন্যও প্রার্থনা করা হয়।
কক্সবাজারে সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান ও প্রথম জামাত। এতে ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মওলানা মাহমুদুল হক এবং একই স্থানে দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মসজিদের খতিব মওলানা সোলাইমান কাশেমী।
প্রধান জামাতে জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, জেলা জজ মুনসী আবদুল মজিদ, পুলিশ সুপার মো মাহফুজুল ইসলাম,জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান,মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করে।
পরে মোনাজাতে শামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এ ছাড়া শহরের বায়তুশ শরফ ও বড় বাজার জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং বদর মোকাম মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়।
সারাবাংলা/এনএস/এনইউ