লঞ্চের দড়ির আঘাতে প্রাণ গেল ৫ জনের
১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২৩
ঢাকা: সদরঘাটে এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চে ওঠনামার দড়ি ছিঁড়ে সেই দড়ির আঘাতে কমপক্ষে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। একই দুর্ঘটনায় আরও একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নৌ পুলিশ ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার সারাবাংলাকে এ দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
পুলিশ সুপার বলেন, তাসরিফ-৪ লঞ্চের দড়ি ছিড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এখান থেকে দুর্ঘটনাকবলিত পাঁচজনকে আমরা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হাসপাতাল থেকে হতাহতের সংখ্যা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাবে। নৌ পুলিশ কাজ করছে। আমরা বিস্তারিত তথ্য পরে জানাতে পারব।
ফেয়ারী শিপিং লাইনস লিমিটেডের মালিকানাধীন এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চটি ঢাকা-চরফ্যাশন-বতুয়া রুটে চলাচল করে।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নৌ পুলিশ ছাড়াও কোতোয়ালি থানার পুলিশ সদস্যরা কাজ করছিলেন। তারা জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। তারা হলেন— মো. বেল্লাল (২৫), তার স্ত্রী মুক্তা (২৫) ও তাদের সন্তান মাইশা (৩)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। বাকি দুজনের মধ্যে মো. রিপন হাওলাদারের (৩৮) বাড়ি পটুয়াখালী সদর ও মো. রবিউলের (১৯) বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরে।
নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ভোলার পথে রওনা দেওয়ার আগে তাসরিফ-৪ লঞ্চটি ঘাটে বেঁধে রাখা ছিল। হঠাৎ এর রশি ছিড়ে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নৌ পুলিশ বলছে, সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝের জায়গা দিয়ে এমভি ফারহান-৬ নামের আরেকটি লঞ্চ ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা নদীবন্দর ট্রাফিকের (সদরঘাট) যুগ্ম কমিশনার জয়নাল আবেদীন সারাবাংলাকে বলেন, দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। পাঁচজন আহত হয়েছেন। ফারহান-৬ লঞ্চটি জোরে পার্কিং করতে যাওয়ায় তাসরিফের রশি ছিঁড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর) আরিফ হাসনাত সারাবাংলাকে বলেন, দুর্ঘটনা ও হতাহতের খবর আমরা পেয়েছি। আমরা স্পটে যাচ্ছি।
সারাবাংলা/জেআর/ইউজে/আরএফ/টিআর