ভাসানটেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬: বার্নে মৃত্যু একজনের
১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১১:২৯
ঢাকা: রাজধানীর ভাসানটেকের কালভার্ট রোডে বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছিলেন একই পরিবারের ছয়জন। তাদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন বাকি পাঁচজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় দগ্ধ মেহেরুন্নেছার (৮০)। তার মেয়ে ও জামাই এবং তাদের তিন সন্তান এ ঘটনায় দগ্ধ হন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, ভাসানটেক থেকে আসা দগ্ধ মেহেরুন্নেছা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৪৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন- গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ একই পরিবারের ৬
মৃত মেহেরুন্নেছার নাত-জামাই সাইফুল ইসলাম জানান, মেহেরুন্নেছার বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার রনুসো গ্রামে। স্বামীর নাম মৃত আসাদ আলী। বিস্ফোরণের দিন ভাসানটেকে তার মেয়ের বাড়িতে ছিলেন তিনি।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধ অন্যরা হলেন— মো. লিটন (৪৮) ও তার স্ত্রী সূর্য বানু (৩০) এবং তাদের তিন সন্তান লিজা (১৮), লামিয়া (৭) ও সুজন (৮)। দগ্ধ সূর্য বানু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া মেহরুন্নেছার মেয়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ ছিল। তা থেকে গ্যাস জমেছিল বাসায়। দিয়অশলাই জ্বালাতেই ওই গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ডা. তরিকুল জানান, লিটনের শরীরের ৬৭ শতাংশ ও তার স্ত্রী সূর্য বানুর শরীরের ৮২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে লিজার শরীরের ৩০ শতাংশ, লামিয়ার শরীরের ৫৫ শতাংশ ও সুজনের শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফারণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু টপ নিউজ বার্ন ইনস্টিটিউট বিস্ফোরণে দগ্ধ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ সিলিন্ডারে লিকেজ