৩ মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৭৮%, গত বছরের অর্ধেক
১৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৪
ঢাকা: চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক, তথা ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিন মাসে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সম্প্রতি কোয়ার্টারলি জিডিপি (কিউজিডিপি) বা ত্রৈমাসিক জিডিপির এই হিসাব প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, এই প্রান্তিকে কৃষিতে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও ব্যাপক পরিমাণে প্রবৃদ্ধি কমেছে শিল্প ও সেবা খাতে।
বিবিএসের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে স্থির মূল্যে দেশের জিডিপির আকার আট লাখ ৪৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল আট লাখ ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে চলতি মূল্যে হিসাব করলে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১ লাখ ২৬ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।
বিবিএসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় এই প্রান্তিকে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
তবে এই সময়ে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি কমেছে।
অন্যদিকে এই প্রান্তিকে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ খাতেও প্রবৃদ্ধি কমে প্রায় অর্ধেক হয়েছে।
জিডিপি বিষয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা হিসেবে বিবিএস নিয়মিত ও বার্ষিক ভিত্তিতে স্থুল দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রাক্কলন করে থাকে। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সরকারের সিদ্ধান্ত ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে কেয়াটারলি জিডিপি প্রাক্কলন শুরু করা হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বিবিএসও উৎপাদন পদ্ধতিতে কিউজিডিপি প্রাক্কলন করছে। তবে বার্ষিক জিডিপির হিসাব করা হয় উৎপাদন ও ব্যয় উভয় পদ্ধতিতেই।
বিবিএস বলছে, এই কিউজিডিপি প্রাক্কলনের অন্যতম লক্ষ্য দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি হ্রাস বা বৃদ্ধির প্রবণতা পরিমাপসহ মৌসুমি সমন্বয় বিবেচনায় বিভিন্ন সূচক তৈরিতে সহায়তা দেওয়া।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর