মুন্সীগঞ্জ: প্রথম ধাপে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী হয়েছিলেন আনিছ উজ্জামান আনিছ। খেলাপি ঋণ থাকার দায়ে যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আনিছ আপিলের সুযোগ পাবেন। আপিলে প্রার্থিতা বহাল থাকলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাবেন। আর তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত থাকবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় খেলাপি ঋণ থাকায় আনিছ উজ্জামানের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী একটি ব্যাংকের কাছে খেলাপি ঋণ থাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছ উজ্জামানের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তার আপিলের সুযোগ রয়েছে।
বশির আহমেদ বলেন, আপিলে টিকে গেলে আনিছ উজ্জামান বৈধ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবেন। তা না হলেআগামী ৮ মে সদর উপজেলায় শুধু ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে। চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন স্থগিত থাকবে। পরে এই পদে নির্বাচনের তফসিল নতুন করে ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ সদর ও গজারিয়া উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে আজ বুধবার। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে ৮ মে।