ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা, গ্রেফতার ১
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে নারীকে ধর্ষণের সময় ভিডিও ধারণ করে প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ির তিনটহরী গোদারপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শহিদুল ইসলাম(৪৪) একই এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের পরিদর্শক আবু জাফর মো. ওমর ফারুক সারাবাংলাকে জানান, ঘটনার শিকার নারী ও অভিযুক্ত শহীদুল পতেঙ্গা এলাকায় পাশাপাশি বাসায় থাকতেন। তারা দুইজনই বিবাহিত। পাশাপাশি বাসায় থাকায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে শহীদুল ওই নারীকে সুমন দে নামে তার এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই নারীকে ধর্ষণ করে গোপন ভিডিও ধারণ করে রাখেন।
এরপর ওই নারীকে তিনি সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন এবং নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। একই বছরের ৩ মার্চ ওই নারী বাধ্য হয়ে আবার সুমনের বাসায় যান। সেখানে শহীদুল তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ওই নারী শহীদুলকে ভিডিও ডিলিট করতে বললে তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। পরে ওই নারী ১০ হাজার করে তিন কিস্তিতে ৩০ হাজার টাকা শহীদুলকে দেন।
ওমর ফারুক আরও জানান, টাকা নেওয়ার পরও শহীদুল ওই নারীকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন এবং আরও একবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরে বাধ্য হয়ে ওই নারী তার স্বামীকে বিষয়টি অবগত করেন। ওই নারীর স্বামী এ বিষয়ে শহীদুলের স্ত্রীকে জানালে তিনিও তাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। না হলে ঘটনার শিকার নারীর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিতে থাকেন।
এরপর নিরুপায় হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই নারী শহীদুল, তার স্ত্রী ও বন্ধু সুমনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলা তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। পরে গোপন সংবাদে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে শহীদুলকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তাকে গ্রেফতার করতে অনেক অভিযান চালানো হয়েছে। সে স্থান পরিবর্তন করত শুধু। আরও অনেক নারীর সঙ্গে সে এরকম কাজ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তার মোবাইলে আরও এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও পেয়েছি, যেটা সে তার চাচাত ভাইয়ের স্ত্রী বলে আমাদের জানিয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যেমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক।’
সারাবাংলা/আইসি/এনএস