চট্টগ্রাম ব্যুরো: যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা ব্যক্তিদের ধরে জরিমানার আওতায় আনতে আলাদাভাবে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে লালদিঘী পাড়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিকের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের সাধারণ সভায় তিনি এ কথা জানান।
মেয়র রেজাউল বলেন, ‘নগরবাসীকে রাস্তায় নিরাপদে হাঁটার অধিকার ফিরিয়ে দিতে নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। ভালো কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। উচ্ছেদ কার্যক্রমকে ব্যর্থ করতে নানা রকম বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
‘তবে ঢাকার একেবারে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ সবাই উচ্ছেদ অভিযানে খুশি। ঈদের সময় একটু নমনীয়তা দেখিয়েছি। এখন আবারও ফুটপাত-সড়ক উদ্ধারে অভিযান চলবে।’
ফুটপাত উদ্ধারের পর ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযানে সংশ্লিষ্ট আরও অন্যান্য সরকারি সংস্থার সম্পৃক্ততা বাড়াতে যোগাযোগ চলছে। একবার উচ্ছেদের পর পুনর্দখল ঠেকাতে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ফুটপাত উদ্ধার শেষ হলে আমার পরবর্তী লক্ষ্য হলো ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাব।’
‘এছাড়া, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একজন ডেডিকেটেড ম্যাজিস্ট্রেট দেব, যার কাজ থাকবে শুধু যাদের বাসা, দোকান ও অফিসের সঙ্গে ময়লা পাওয়া যাবে তাদের জরিমানা করা। ফুটপাত রক্ষায় পুলিশ, র্যাব ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই।’
সভায় নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, ‘নিউমার্কেট মোড়ে ব্যাপক উচ্ছেদের মাধ্যমে ফুটপাত-সড়কের স্থান উদ্ধার করা গেলেও ঈদের শেষ সময়ে হকাররা আবারও ফিরে এসেছে। এজন্য হকার উচ্ছেদে আবারও নতুন করে একটা প্রোগ্রাম গ্রহণ করা যেতে পারে।’
‘নিউমার্কেট মোড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে হামলার ঘটনায় দু’টি মামলা হয়। এর মধ্যে দ্রুত বিচার আইনে হওয়া মামলাটির চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আরেকটি মামলা চলমান আছে, যেটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফুটেজ বিশ্লেষণসহ তদন্ত করা হচ্ছে।’
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।