যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৪৯
যশোর: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে যশোর। বৈশাখের খরতাপে হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুল। প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখি হচ্ছে ব্যারোমিটারের পারদ। আবহাওয়া অফিস বলছে, এই অঞ্চলের উপর দিয়ে এখন বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বুধবার জেলায় এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহস্পতিবারও তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রিপার হয়েছে। তাপমাপার যন্ত্রে যে মাত্রাই আসুক প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন। দুপুরে ঘর থেকে বের হলেই অসহ্য গরমে দুর্ভোগে পড়তে হচ্চে মানুষ কে। সহসাই এই তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি মিলছে না বলে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, যশোরে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। বৈরী হয়ে উঠছে প্রকৃতি। হাঁসফাঁস করছে জনজীবন-প্রাণিকুল। খরতাপে সারাদিনই অস্বস্তিকর সময় পার করছে সাধারণ মানুষ। গরমের তীব্রতায় জীবনযাত্রা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যশোরে দিনের অধিকাংশ সময় তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামছে না। তবে গরমের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে ৪২ ডিগ্রির মতো। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বুধবার যশোরে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মৃদু তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝারি তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ। সেই অনুযায়ী যশোরে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। আর আগামী দু’একদিনের মধ্যে এই তাপ প্রবাহের তেমন কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
প্রচণ্ড গরমে ঘরের বাইরে আসা সাধারণ মানুষ পড়ছেন বিপাকে। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউবা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা। রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন শওকত আলী।
তিনি বলেন, ‘তীব্র গরমের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে মাথার মধ্যে ঘুরিয়ে উঠছে। কিন্তু ভাড়া না মারলে তো সংসার চলবে না।’
যশোর শহরের রিকশা চালক মফিজুর রহমান বলছেন, ‘মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। যারা বাইরে আসছে গরমের সাথে তাদেরও মেজাজ গরম থাকছে। মানুষের সাথে ভালো করে কথা বলা যাচ্ছে না। এদিকে, গরমে পরিবহণে চলাচল করা যাত্রীরাও নিদারুণ কষ্টে যাতায়াত করছেন।’
শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, বাসার ছাদের পানির রিজার্ভ ট্যাংকের পানি অনেক গরম হয়ে যাচ্ছে। দুপুর বারোটা থেকে বিকেল পর্যন্ত পানিতে হাত দেয়া যাচ্ছে না।
শহরে শরবত বিক্রেতা কালাম হোসেন জানান, গরম বাড়ায় তাদের শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।
সারাবাংলা/একে