ভোট দিতে পারছেন না শাকিব-জায়েদ খান
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০৫
ঢাকা: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে নিয়ে শাকিব খান ও জায়েদ খানের মধ্যকার দ্বন্দ্বের শুরু ২০১৭ সাল থেকে। সে বছর প্রথমবার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জায়েদ খান।
নির্বাচনের দিন ভোট গণনা কেন দেরি হচ্ছে তা দেখতে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন শাকিব। তখন তাকে জায়েদ অনুসারীরা হেনেস্থা করেন। শাকিব তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে জিডি করেন।
পরবর্তীতে যৌথ প্রযোজনার ইস্যুতে শাকিবকে নিষিদ্ধ করে চলচ্চিত্র পরিবার। এতেও জায়েদ খানের হাত ছিল বলে অভিযোগ। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এ দুই নায়ক এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না।
জানা গেছে, শাকিব খান বর্তমানে ভারত রয়েছেন রায়হান রাফি পরিচালিত তুফান ছবির শুটিংয়ে। ছবিটি কোরবানির ঈদে মুক্তি পাবে। তাই শুটিং রেখে ঢাকায় আসা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ভোটের খোঁজখবর রাখছেন।
অন্যদিকে গেল ফেব্রুয়ারিতে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করে শিল্পী সমিতি। সর্বশেষ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার তার বিরুদ্ধে সমিতির গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগ আনেন। যদিও জায়েদ তা হেসে উড়িয়ে দেন।
জায়েদ নির্বাচনে না থাকলেও তার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে মিশা সওদাগর-ডিপজল প্যানেলের প্রতি। কথিত রয়েছে তার পরামর্শেই ভোটের কৌশল নির্ধারণ করছে প্যানেলটি।
চলচ্চিত্রের শিল্পীদের নেতা নির্ধারণে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গনে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির নির্বাচনে ভোটের লড়াই চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ৫৭০ জন। এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্যানেলে আছেন খলনায়ক মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। আরেক প্যানেলে আছেন নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।
এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন খোরশেদ আলম খসরু। সদস্য হিসেবে আছেন এ জে রানা ও বিএইচ নিশান।
সারাবাংলা/এজেডএস/এনএস