ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে পালাতে গিয়ে পুলিশের মোটরসাইকেলে ধাক্কা
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৮
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় অননুমোদিত যানবাহন ঠেকাতে মাঠে নেমেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই সময়ই মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হয় তিন কিশোর। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যেতে উদ্যত হয় তারা। তবে তাড়াহুড়োয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা দিলে আর পালাতে পারেনি তারা। উলটো ওই পুলিশ সদস্যসহ তিন কিশোর আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার কিছু আগে সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিন কিশোরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হলেও আহত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রতন ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
এদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর কিশোরদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, তিন কিশোর মেহেরপুর জেলা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুতগতিতে চুয়াডাঙ্গা শহরের দিকে আসছিল। ওই সময় সদর উপজেলার হাতিকাটা মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলছিল। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের কিশোর চালককে থামাতে ইঙ্গিত করেন। তা দেখে তারা আরও দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এ সময় এএসআই রতন ইসলাম মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন এবং মোটরসাইকেলে থাকা তিন কিশোর আরোহীও সড়কের পাশে পড়ে গিয়ে আহত হয়। তাদের সবাইকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মোটরসাইকেলে থাকা তিন কিশোরের সবাই মেহেরপুর জেলার পিরোজখালী গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলো— সমির আলীর ছেলে মাহফুজ, নাসির আলীর ছেলে শাহিন ও আরিফুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
দূর্ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কবির হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহয়তাকারী আহত পুলিশ সদস্যেকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ আরও বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীরা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের ডাকা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তিন কিশোরকে অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর