কেরুজ কৃষি খামারে দুর্বৃত্তদের হামলা
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০২
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার ছয়ঘরিয়াতে কেরুজ কৃষি খামারে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে। রাতের এই হামলার সময় প্রাণ বাঁচাতে রাতে পাহারাদাররা দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে এক পাহারাদার মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে গ্রামের লোকজন সেখানে হাজির হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জিসান ও অনুসারীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন পাহারাদার। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
দর্শনা কেরুজ চিনিকলের অধীন ৯টি কৃষি খামার রয়েছে। খামারের জমি চাষাবাদের জন্য থাকে বিভিন্ন মালামাল। আর এসব মালামাল পাহারা দিতে দিনে ও রাতে থাকে পাহারাদার। তাদের ভাষ্য, খামারে লুটপাট চালাতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাত-আটজনের একটি দুর্বৃত্তের দল দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খামারে হামলা চালায়। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে খামারের পাহারাদার মিন্টু ও হাবুল্লা পালিয়ে যান।
পাহারাদার মিন্টু বলেন, ছয়ঘরিয়া গ্রামের আলোচিত জিসান মোবাইলে কল করে আমার অবস্থান জানতে চায়। আমি বলি, খামারে পাহারায় আছি। তখন জিসান বলে, তুই ওখানেই থাক, আমি আসছি। মোবাইলে কথা চলতে চলতেই জিসান তার লোকজন নিয়ে খামারে ঢুকে আমাদের হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। আমি ভয়ে পালিয়ে যাই। পরে মোবাইলে কল করে ছয়ঘরিয়া গ্রামে আমার আত্মীয়-স্বজনদের খবর দিই। গ্রামের লোকজন দলবেঁধে খামারের দিকে এলে জিসান তার লোকজন নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় আমাকে হুমকিও দিয়ে যায়।
খামারের ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, পাহারাদার মিন্টু আমাকে মোবাইলে ঘটনা জানিয়েছে। আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। খামারের কোনো মালামাল খোয়া গেছে কি না, জানা যায়নি। হামলার উদ্দেশ্যও জানা যায়নি। জিসান ও তার লোকজন খামারের গাছপালা-সম্পদ লুটপাট ও মাটি বিক্রি করে থাকে। প্রাণভয়ে কর্মচারীরা মুখ খুলতে সাহস পায় না।
রবিউল আরও বলেন, গায়ের জোরে কেরুজ জমির মাটি বিক্রি নিয়ে জাহাঙ্গীর নামে একজনকে খুন হতে হয়েছিল। জিসান সেই মামলার আসামি। তার ভয়ে কেরুজ কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো কৃষি খামারের কাজও করতে পারে না। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যাক্তির কাছে জিন্মি হয়ে থাকবে, এটা হতে পারে না।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেন্দার আলী বলেন, এমন কোনো খবর আমি জানি না।
সারাবাংলা/টিআর