ঈদের পর বাড়তি মুরগি-ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১৩
ঢাকা: ঈদের এক সপ্তাহ পর বেড়েছে মুরগি, ডিম, পেঁয়াজ ও আলু ও বেগুনের দাম। তবে কমেছে গরুর মাংসের দাম। আর স্থিতিশীল আছে লেবু ও শসার দাম।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বাসাবো কাঁচাবাজার ও শাহজাহানপুর রেলগেট বাজার ঘুরে ঈদের পর কাঁচাবাজারে গিয়ে এসব নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে ক্রেতাদের হিমশিম খেতে দেখা যাচ্ছে।
বাজারের বাইরে ভ্যান থেকে ৩০ টাকায় আধা কেজি বরবটি কিনে অসন্তুষ্টি জানালেন সবুজবাগের বাবু। বললেন, ঈদের পরপর কিছুটা দাম কমলেও এখন আবার দাম বেড়ে গেছে। বাজারে আসলে কী খাব, তাই বুঝি না। শাকটা একটু কম দামে পাওয়া যায়। দেখি, শাকই কিনে নিয়ে যাব।
রোজার শুরু থেকেই মুরগির দাম ছিল বাড়তির দিকে। ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ পেরিয়ে এসে ঈদের সময়ের থেকেও মুরগির দাম বাজারে বাড়তি দেখা গেল। মুরগির দোকানদাররা বাজারে সরবরাহ কম থাকাকে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
গত শুক্রবার তথা ঈদুল ফিতরের পরদিন ভাই-ভাই মুরগির দোকানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা কেজি দরে। ঠিক পরের শুক্রবারেই এই মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা কেজি দরে।
দোকানের মালিক কাউসার সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের সময়ের চেয়ে এখন মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। সোনালির দামও ৩৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০ টাকা হয়েছে। দেশি মুরগি ৪৩০ টাকা কেজি ছিল, আজ ৪৫০ টাকা। সরবরাহ কম থাকায় পাইকারিতে দাম বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেশি।’ সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে বলে আশা করছেন তিনি।
আরেক দোকানে একটি খাঁচায় অল্প কয়েকটি ব্রয়লার মুরগি ছিল। সিই দোকানদারও বললেন, গত সপ্তাহে ২২০ টাকা থাকলেও এ দিন মুরগি আজ ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বেড়েছে ডিমের দামও। গত সপ্তাহে পোলট্রি মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হয়েছিল। এক সপ্তাহ পরে ডজনপ্রতি ৫ টাকা করে দাম বেড়ে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাড়তির বাজারে কিছুটা কম পাওয়া গেল গরুর মাংসের দাম। ঈদের সময় ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও শুক্রবারের বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেল ৭৫০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে সরবরাহ কম থাকলেও বাজারে বাড়েনি মাছের দাম। বড় মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা যেগুলো বাজারে দেখা গেছে, সবই হিমায়িত। সেগুলো আকার ও মানভেদে ২৪০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
কাঁচাবাজারের পণ্যের মধ্যে বেড়েছে পেঁয়াজ, আলু, কাঁচামরিচ ও বেগুনের দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পৌঁছে গেছে। ৫০ টাকার আলুর দাম হয়ে গেছে ৬০ টাকা। ৮০ টাকা কেজির কাঁচামরিচের কেজি বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। আবার রমজানের শেষের দিকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুন বিক্রি হতে দেখা গেল ১০০ টাকায়।
বাজারে স্থিতিশীল লেবু, শসা, বাঁধাকপির দাম। লেবুর হালি ৪০ টাকা, শসার কেজি দেশি জাত ৪০ টাকা, আর হাইব্রিড ৩০ টাকা। বাঁধাকপি প্রতি পিসের দাম ৪০ টাকা।
কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী হৃদয় বলেন, পাইকারিতে দাম বাড়ায় করলা ও ধুন্দলের মতো গরমের সবজির দামও বাড়তির দিকে। করলার পাইকারি দাম ৫০ টাকা কেজি। বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ধুন্দলের পাইকারি পাইকারি দাম ৬৫ টাকা, খুচরা বিক্রি ৮০ টাকায়।
সারাবাংলা/আরএফ/টিআর